শিরোনাম

সব গাছ কি পরিবেশ বান্ধব ?


ভাই এটা জাতিসংঘ বলছে, এটাতে ভুল থাকতে পারে না
ভাই এটা বিশ্বব্যাংক করতে বলছে, এটা করলে আমাদের ভালো হবে
ভাই এটা আমেরিকার বিজ্ঞানীরা টেস্ট করছে, এটায় ভুল থাকতে পারে না।
এই স্বীকৃতি জাতিসংঘের ইউনেস্কো দিছে, তাই এটা মহামূল্যবান
আমার মনে হয়, ধরনের চিন্তাধারা থেকে আমাদের সরে আসা উচিত। কারণ:
যে জাতিসংঘ বিশ্বজুড়ে মুসলমানদের মেরে ইহুদীবাদীদের স্বার্থ রক্ষা করছে,
যে বিশ্বব্যাংক অর্থনৈতিক ঘাতক হয়ে বিভিন্ন দেশ লুটে খাচ্ছে,
যে আমেরিকা দেশে দেশে মুসলমান মারতেছে,
তারা যখন আপনাকে উপর দিয়ে ভালো কিছু বলছে, ভালো কিছু দিচ্ছে,
তখন তো ধরে নেয়া উচিত নিশ্চয়ই তার ভালোর মধ্যে খারাপ আছে। কিখারাপআছে, এটা আমি এখন ধরতে পারছি না, কারণ আমার হয়ত সে প্রযুক্তি নেই, কিংবা আমার সে বিষয়ে গবেষণা এত উন্নত নয়। কিন্তু এরা আমাকে ভালো জিনিস দিলেও নিশ্চয়ই তার ভেতর এমন কিছু খারাপ লুকিয়ে আছে, যেটা আমি এখন বুঝতে পারতেছি না, হয়ত ৩০-৪০ বছর পর গিয়ে বুঝতে পারবো।
বাংলাদেশে ৮০-এর দশকের শেষের দিকেবিশ্ব ব্যাংকবাংলাদেশ সরকারকে চাপ প্রয়োগ করে কৃষিক্ষেত হতেব্যাঙধরে দেয়ার জন্য। সেই সময় কৃষিক্ষেত হতে কোটি কোটি ব্যাঙ ধরা হয়। কিছু দিন পর দেখা যায়, ধানক্ষেতে পোকার আক্রমণ মারাত্মক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে এবং হাজার হাজার ধানক্ষেত পোকার আক্রমনে ধানশূন্য হয়ে পড়ে। এমতাবস্হায় বিশ্বব্যাংক পরামর্শ দেয় উন্নত সার কীটনাশক জমিতে ব্যবহার করতে। বিদেশী কোম্পানিগুলো তখন বাংলাদেশে সার কীটনাশক বিক্রি সুযোগ পায়। বিশ্ব ব্যাংক তখন অতিরিক্ত শর্তসাপেক্ষে ঋণ দেয় এবং বিভিন্ন চুক্তি সম্পাদন করে। অর্থাৎ একদিকে পরিবেশ বান্ধব ব্যাঙ কিনে নিলো। আমরা ভাবলাম- আহারে ওরা কত ভালো, জমিতে বিনামূল্যে পাওয়া ব্যাঙগুলো কোটি টাকা দিয়ে কিনে নিলো। কিন্তু পোকা খেকো ব্যাঙ ধরে আমরা নিজেদের যে কি ক্ষতি করলাম, তা আমরা বুঝতে পারি নাই। যার ফল অবশ্য অন্যদিক দিয়ে দিতে হলো, হাজার কোটি টাকার সার কীটনাশক কিনতে হয়েছে এবং এখনও হচ্ছে ওদের থেকে।
ইহুদীসংঘ তথা জাতিসংঘ প্রায় পরিবেশ বিপর্যয়, দুর্যোগ ইত্যাদি শ্লোগান তুলে। বাংলাদেশ মরুভূমি হয়ে যাচ্ছে, তাই বনায়ন চাই। কত সুন্দর সুন্দর তাদের কথা। শুনতেই ভালো লাগে। কিন্তু তাদের এসব সুন্দর কথার আড়ালে কত কিছু লুকিয়ে আছে, তা কি আমাদের জানা ?
১৯৭০ সালের মাঝামাঝি সময়ে জাতিসংঘের UNDP-এর মাধ্যমে কিছু বিদেশী প্রজাতির গাছ বাংলাদেশে আসে। এরপর এশিয়ান ডেভলপমেন্ট ব্যাংক, বিশ্ব ব্যাংক এবং ইউএসএইড এর অর্থায়নে উপজেলা পর্যায়েরসামাজিক বনায়ন কর্মসূচিএবং সরকারের বন বিভাগের বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে বাংলাদেশে গাছগুলো ছড়িয়ে দেয়া হয়। গাছগুলো মধ্যে সবচেয়ে বেশি ছড়ানো হয় ইউক্যালিপটাস আকাশমনি নামক দুটি গাছ। ইতিমধ্যে লক্ষ লক্ষ ইউক্যালিপটাস আশাকমনি উত্তরাঞ্চলসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় ছড়িয়ে দেয়া হয়েছে বিভিন্ন এনজিও সরকারের বানায়ন প্রকল্পের মাধ্যমে। কৃষকের থেকে মোটা দামে গাছগুলো কিনে নেয়ায় কৃষকও আগ্রহী হচ্ছে গাছ লাগনোয়। আমাদের শোনানো হচ্ছে, গাছ লাগানোর মাধ্যমে পরিবেশ ভালো থাকবে। কিন্তু সব গাছ কি পরিবেশ বান্ধব ? বানয়নের নামে ইউক্যালিপটাস আকাশমনি গাছে লাগানোয় আসলেই কি পরিবেশের উন্নতি হচ্ছে ?
দেখা গেছে, এই দুইটি গাছে উপকারের থেকে অপকার অনেক বেশি। বিশেষ করে:
) গাছগুলো মাাটির পানি দ্রুত শোষণ করে। একটি পূর্ণ বয়স্ক ইউক্যালিপটাস গাছ দৈনিক ৯০ লিটার পানি শোষণ করে, ফলে মাটি শুষ্কতা তৈরী হয়। বর্তমানে উত্তরাঞ্চলে যে মরুভূমি পরিবেশ তৈরী হয়েছে তার পেছনে একটি কারণ মনে করা হয় এসব ক্ষতিকারক গাছের বনায়নকে। আমি আপনাদেরকে আগেই বলেছিলাম, ইহুদীবাদীরা বাংলাদেশে পানির সংকট তৈরী করে পানিযুদ্ধ তৈরী করবে। এর একটি অংশ হিসেবে ৭০-৮০ দশক থেকে এই ক্ষতিকারক গাছের বনায়ন হতে পারে।
) এই গাছগুলো রেনু নিঃস্বাসের সাথে গেলে এ্যালার্জি অ্যাজমা জাতীয় রোগের তৈরী হয়। ফলে সম্রাজ্যবাদীরা তাদের ওষুধবিক্রির নতুন মওকা পায়।
) গাছের চারপাশে অন্য কোন গাছ জন্মাতে পারে না।
) ইউক্যালিপটাস গাছে প্রচুর তেল থাকে, এটা দাবানল সহায়ক। অস্ট্রেলিয়ায় প্রতি বছর যে দাবানল তৈরী হয়, তার পেছনে এই ইউক্যালিপটাস গাছ দায়ী। বাংলাদেশে গাছ দিয়ে বনায়ন করলে বাংলাদেশেও খুব শিঘ্রই দাবানল নামক পরিবেশ দূর্যোগ দেখা দিতে পারে।
) ইউক্যালিপটাস গাছ প্রচুর পরিমাণে কার্বন ডাই অক্সাইড নিঃসরণ করে, ফলে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায়।
ক্ষতির কথা বিবেচনা করে সরকার ২০০৮ সালে ইউক্যালিপটাস গাছের চারা উৎপাদন নিষিদ্ধ করে। কিন্তু এখনও সরকারিভাবে গাছ উচ্চমূল্যে কিনে নেয়ায় কৃষক তার চাষ বন্ধ করছে না। উপরন্তু বিদেশী অর্থপ্রাপ্ত এনজিওগুলো বিভিন্ন জেলায় বনায়নের নামে এসব গাছ লাগানো অব্যাহত রেখেছে।
এতো গেলো ব্যাঙ আর গাছ নিয়ে ষড়যন্ত্র। এখন বাংলাদেশে প্রযুক্তির নাম দিয়ে জিএমও খাদ্য যেমন গোল্ডেন রাইস নিয়ে আসা হচ্ছে, পেছনে আছে জাতিসংঘ, ইউএসএইড, বিশ্বব্যাংকের মত সম্রাজ্যবাদী সংস্থাগুলো। আমি নিশ্চিত, বিষয়গুলো এখন বোঝা যাচ্ছে না, কিন্তু ১০-২০ বছর পর এর ক্ষতি নিয়ে সবাইকে কপাল চাপড়াতে হবে।
তথ্যসূত্র:
) পরিবেশের রাজনীতি, . মাহবুবা নাসরীন

--------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
আমার ফেসবুক পেজঃ- Facebook.com/AbdullahIbneMasud5
আমার ব্লগ সাইটঃ- www. AbdullahIbneMasud5.blogspot.com

No comments

Thanks for your comments. I will reply you as soon as.