শিরোনাম

শরয়ী এবং চিকিৎসা বিজ্ঞানমতে স্যালাইন ,ইনজেকশন রোজা ভঙ্গের কারন






বর্তমান সমাজের প্রেক্ষাপটে ইঞ্জেকশন নেওয়া রোজা ভঙ্গের কারণ বিষয়টি বিশেষ গুরুত্ব তাৎপর্য বহন করে। কেননা বর্তমানে চিকিৎসা বিজ্ঞানে ইঞ্জেকশনের ভূমিকা অপরিসীম, বিশেষ করে কিছু কিছু রোগের ক্ষেত্রে নিয়মিত ইঞ্জেকশন নেওয়ার প্রয়োজন পড়ে। 
কিছু সংখ্যক নামধারী মাওলানা ইঞ্জেকশনের কার্যকারিতা সম্পর্কে অজ্ঞতা হেতু বিভ্রান্তিমূলক ফতওয়া দিয়েছে যে, রোজাবস্থায় ইঞ্জেকশন নিলে রোজা ভঙ্গ হয়না। অথচ ইসলামী শরীয়তের উসুল মোতাবেক যা সম্পূর্ণ ভূল। অর্থাৎ রোজাবস্থায় ইঞ্জেকশন নিলে অবশ্যই রোজা ভঙ্গ হবে।
রোযা অবস্থায় ইনজেকশনসহ যে কোনো প্রকার চিকিৎসা গ্রহণ সম্পর্কে শরীয়তের সঠিক ফতওয়া: 
তিবরানী শরীফ-এর হাদীছ শরীফ- ইরশাদ হয়েছে,
الفطرمما دخل.
অর্থাৎ- খাদ্য পানীয় ঔষধসহ যে কোনো কিছু যে কোনো রাস্তায় যে কোনোভাবে প্রবেশ করুক, যদি জানা যায় বা নিশ্চিত হওয়া যায় যে, তা ব্রেইন অথবা পাকস্থলীতে পৌঁছেছে তবে অবশ্যই রোযা ভঙ্গ হয়ে যাবে। এটা হচ্ছে আম ফতওয়া।
আর খাছ ফতওয়া হচ্ছে, কোনো কোনো ক্ষেত্রে ব্রেইন বা পাকস্থলীতে প্রবেশ না করলেও রোযা ভঙ্গ হয়ে যাবে। যেমন, কেউ রোযা অবস্থায় পেশাব বা পায়খানার রাস্তায় আঙ্গুল অথবা অন্য কিছু প্রবেশ করালো তাতে অবশ্যই রোযা ভঙ্গ হয়ে যাবে।
সুতরাং ইনজেকশনের মাধ্যমে প্রবেশকৃত ঔষুধ যেহেতু নিশ্চিতভাবেই ব্রেইন বা মগজে পৌঁছে, তাই রোযা অবস্থায় ইনজেকশন নিলে রোযা অবশ্যই ভঙ্গ হয়ে যাবে।
চিকিৎসাবিজ্ঞানেরদৃষ্টিতে ইনজেকশন:
রোগ নিরাময়ের জন্যে আমরা বিভিন্ন পদ্ধতিতে ওষুধ সেবন করি। বিভিন্ন DOSAGE FORM- (ডোজেজ ফরম) বলতে বোঝায় ওষুধ গ্রহণের যত রকম পদ্ধতি আছে, যেমন- ট্যাবলেট, ক্যাপসুল, সাসপেনশান, সিরাপ, ইনজেকশন ইত্যাদি)-এর মধ্যে ইনজেকশনও একটি পদ্ধতি। ইনজেকশন পদ্ধতিটি মূলত Parenteral পদ্ধতির একটি অংশ।
ইনজেকশনকে পাঁচটা সাধারণ শ্রেণীতে ভাগ করা হয়েছে-
১। দ্রবণ জাতীয় ইনজেকশন (Solutions ready for injection)
২। শুষ্ক দ্রব্য, কিন্তু শরীরে ইনজেকশন পদ্ধতিতে দেয়ার পূর্বে কোনো দ্রবণে দ্রবীভূত করে নেয়া যায়। যেমন- (Dry, soluble products ready to be combined with a solvent just prior to use)
৩। সাসপেনশন জাতীয়। (Suspensions ready for injection)
৪। শুষ্ক, অদ্রবণীয় দ্রব্য কিন্তু কোনো Vehicle (মাধ্যম)- মিশিয়ে দেয়া হয়। (Dry insoluble products ready to be combined with a vehicle just prior to use)
৫। ইমালশান জাতীয়। (Emulsion type)
এই পাঁচ প্রকার ইনজেকশন আবার বিভিন্ন পথে শরীরে প্রবেশ করানো হয় এবং কোন পথে কোন ইনজেকশন দেয়া হবে, তা নির্ভর করে সাধারণতঃ ওষুধের গুণাগুণের উপর। যেমন- সাসপেনশন জাতীয় ইনজেকশন সরাসরি রক্তে দেয়া হয় না, কেননা সেখানে বড় বড় দানা Blood capillaries অর্থাৎ রক্ত জালিকা বন্ধ করে দিতে পারে। আবার Solution জাতীয় ইনজেকশন ত্বকের স্তর দিয়ে দিতে হলে Tonicity adjustment খুব গুরুত্বপূর্ণ। নতুবা ত্বকে Irritation অর্থাৎ জ্বালা হতে পারে। সে কারণেই Injection আবার বিভিন্ন পদ্ধতিতে দেয়া হয়। এর মধ্যে নিচের মাধ্যমগুলো উল্লেখযোগ্য-
১। Intravenous (ইন্ট্রাভেনাস)
২। Subcutaneous (সাবকিউটেনিয়াস)
৩। Intradermal (ইন্ট্রাডারমাল)
৪। Intramuscular (ইন্ট্রামাসকিউলার)
৫। Intrathecal (ইন্ট্রাথিকাল)
৬। Intra areterial (ইন্ট্রা আরটারিয়াল)
Intravenous (
ইন্ট্রাভেনাস): পদ্ধতিতে ঠবরহ (শিরা)-এর মাধ্যমে রক্তে ওষুধ প্রয়োগ করা হয়। পদ্ধতিতে ওষুধ সরাসরি রক্তে মিশে যায়।
Subcutaneous (সাবকিউটেনিয়াস): শরীরে ত্বকের এবং মিউকাস মেমব্রেনের এক বা একাধিক স্তরের মধ্য দিয়ে পদ্ধতিতে ওষুধ প্রয়োগ করা হয়। তবে পদ্ধতিতেও ওষুধ রক্ত স্রোতে মিশে যায়।
Intramuscular (ইন্ট্রামাসকিউলার): পদ্ধতিতে ওষুধ শরীরের পেশীসমূহের মধ্য দিয়ে প্রবেশ করানো হয় এবং কিছু সময় পর ওষুধ রক্ত স্রোতে গিয়ে মিশে।
Intrathecal (ইন্ট্রাথিকাল): অনেক সময় CNS (Central Nervous System) অর্থাৎ কেন্দ্রীয় ¯œায়ুতন্ত্রে ওষুধ অন্যান্য পদ্ধতিতে প্রয়োগ করলে বিলম্বে পৌঁছে, আর সে কারণেই এখন পদ্ধতি ব্যবহার করলে ওষুধ সহজেই CNS- পৌঁছে।
এটা সহজেই বোঝা যায় যে, ইনজেকশনের যে কোনো পদ্ধতিতেই শরীরে ওষুধ প্রয়োগ করা হোক না কেন শরীরে ওষুধের শোষণের কিছু সময় পরেই রক্ত স্রোতের মাধ্যমে সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়ে। ব্যাপারে Goodman Pharmacology -তে বলা হয়েছে ওষুধের শোষণের কয়েক মিনিটের মধ্যেই হৃৎপি-, যকৃৎ, কিডনী, মগজ এবং অন্যান্য অঙ্গে বেশীরভাগ ওষুধ চলে যায়।
অর্থাৎ রক্ত হচ্ছে এমন একটি মাধ্যম, যার মধ্য দিয়ে খাদ্য, অক্সিজেন, পানি এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় উপাদান টিস্যুসমূহে পৌঁছে এবং বর্জ্যদ্রব্যসমূহ বহন করে নিয়ে আসে। এটা এক ধরনের সংযোগ কলা tissue সুতরাং blood- পৌঁছে ওষুধ শরীরের সর্বাংশে ছড়ায়, অর্থাৎ মগজে পৌঁছে।
আমাদের আলোচনার প্রয়োজনে আমরা এবারে মগজে ওষুধ প্রবেশের পথটি বর্ণনা করবো, তবে তার পূর্বে মগজের গঠন নিয়ে একটু আলোচনা করা যাক।
BRAIN (
মগজ):
মানুষের মগজের উপর আছে তিনটি পর্দা। যথা-
১। Dura Mater (ডুরা মেটার)
২। Arachnoid (এ্যারাকনয়েড)
৩। Pia Meter (পায়া মেটার)
ডুরা মেটারের গঠন একটু পুরু এবং পায়া মেটার অত্যন্ত সূক্ষ্ম একটি পর্দা, যা কিনা BRAIN (মগজ) কে ঢেকে আছে। আর দুয়ের মাঝামাঝি হলো এ্যারাকনয়েড। blood venels (রক্ত নালী)- তিনটি পর্দা (Meninges) পার হয়ে মগজে বা BRAIN- পৌঁছেছে এবং জালিকার মতো মগজের অভ্যন্তরে ছড়িয়ে আছে।
পর্যন্ত আলোচনায় আমরা যে ধারণা পেলাম তা হচ্ছে-
১। ইনজেকশন কত প্রকার এবং কত রকম পদ্ধতিতে দেয়া হয়।
২। তা কিভাবে রক্ত স্রোতের মাধ্যমে শরীরের সর্বাংশে ছড়ায়।
৩। বিশেষত মগজের অভ্যন্তরে কী করে ইনজেকশনের পর ওষুধ প্রবেশ করে।
আমাদের এতক্ষণের আলোচনায় এটাই দেখেছি যে, যত প্রকারের ইনজেকশন হোক না কেন, তা এক সময় রক্ত স্রোতে মিশবে এবং মগজে পৌঁছে যাবে।
অতএব, চিকিৎসা বিজ্ঞানের তথ্যবহুল আলোচনা দ্বারা স্পষ্টই প্রমাণিত হলো যে, ইনজেকশন ইত্যাদি মগজে পৌঁছে। সুতরাং রোযা অবস্থায় ইনজেকশান নিলে রোযা ভঙ্গ হয়ে যাবে।
#ফিক্বাহ ফায়সালাঃ
উল্লেখ রয়েছে যে,
وما وصل الى الجوف اوالى الدماغ من مخاقة الاصلية كالانف والاذن والدبر …… فسد صومه.
অর্থঃ যা নাক, কান, পায়খানার রাস্তা ইত্যাদি দ্বারা মগজ অথবা পেটে পৌঁছবে, তাতে রোযা ভঙ্গ হয়ে যাবে। (বাদায়েউছ ছনায়ে)
প্রসঙ্গে কিতাবে আরো উল্লেখ করা হয় যে,
وما وصل الى جوف الرأس والبطن الاذن والانف الدبر فهو مفطر بالاجماع.
অর্থঃ কান, নাক পায়খানার রাস্তা দিয়ে ওষুধ ইত্যাদি মগজ অথবা পেটে পৌঁছা সকলের নিকটেই রোযা ভঙ্গের কারণ। (খোলাসাতুল ফতওয়া)
অনুরূপ হিদায়া, আইনুল হিদায়া, মাবসূত, বাহরুর রায়িক, রদ্দুল মুহতারে উল্লেখ আছে)
উপরোক্ত বক্তব্য দ্বারা এটাই প্রমাণিত হলো যে, রোযা ভঙ্গকারী কোনো কিছু যেমন ওষুধ ইত্যাদি মগজ অথবা পেটে পৌঁছালে রোযা ভঙ্গ হয়ে যাবে।
আর চিকিৎসা বিজ্ঞানের বক্তব্যের দ্বারা যেহেতু স্পষ্টভাবে প্রমাণিত হয়েছে যে, ইনজেকশনের ওষুধ মগজে পৌঁছে যায়, সেহেতু ইনজেকশন নিলে রোযা ভঙ্গ হয়ে যাবে।
কেউ কেউ বলে, মূল রাস্তা ব্যতীত (অর্থাৎ নাক, কান, মুখ, পায়খানার রাস্তা ইত্যাদি) অন্য কোনো স্থান দিয়ে ওষুধ ইত্যাদি মগজে অথবা পেটে প্রবেশ করলেও রোযা ভঙ্গ হবে না।
যদি এটা সত্য হয়, তবে তো جائفه I امه তে ওষুধ দিলেও রোযা ভঙ্গ হবে না, কারণ ওটা তো মূল রাস্তা নয়, মূলতঃ ফিক্বাহের কোনো কিতাবেই মূল রাস্তাকে শর্ত করা হয়নি অর্থাৎ কোথাও একথা বলা হয়নি যে, রোযা ভঙ্গ হওয়ার জন্যে ওষুধ ইত্যাদি মূল রাস্তা দিয়ে প্রবেশ করা শর্ত। হযরত ইমাম যম আবূ হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার মতে ওষুধ ইত্যাদি রাস্তা দিয়ে প্রবেশ করা শর্ত নয়, বরং মগজ অথবা পেটে পৌঁছাই রোযা ভঙ্গের কারণ, চাই তা যে স্থান দিয়েই প্রবেশ করুক না কেন।
যেমন প্রসঙ্গে কিতাবে উল্লেখ করা হয় যে,
وابو حنيفة رحمه الله تعالى يقول المفسد للصوم وصول المفطر الى باطنه فالعبرة للواصل لاللمسلك.
অর্থঃ ইমামে যম হযরত ইমাম আবূ হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি বলেন, রোযা ভঙ্গের কারণ হলো- রোযা ভঙ্গকারী কোনো কিছু ভিতরে প্রবেশ করা, সুতরাং পৌঁছাটাই গ্রহণযোগ্য, মূল রাস্তা নয়। (মাবসূত)
আর ফতহুল ক্বাদীর ২য় জিঃ ২৬৬ পৃষ্ঠায় উল্লেখ করা হয়েছে যে,
وابو حنيفة رحمة الله عليه يعتبر الوصول
অর্থঃ- ইমামে যম হযরত ইমাম আবূ হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার নিকট পৌঁছাটাই গ্রহণযোগ্য।
আর হযরত ছাহেবাইন রহমতুল্লাহি আলাইহিমা উনারা মূল রাস্তাকে গ্রহণ করেছেন। তবে উনারা মূল রাস্তাকে জন্যই গ্রহণ করেছেন যে, মূল রাস্তা দিয়ে ওষুধ ইত্যাদি মগজ অথবা পেটে পৌঁছার ব্যাপারে কোনো সন্দেহ থাকে না কিন্তু অন্য স্থান দিয়ে প্রবেশ করলে তাতে সন্দেহ থেকে যায়। প্রসঙ্গে কিতাবে উল্লেখ করা হয় যে,
وما وصل الى الجوف او الى الدماغ عن غير المخارق الاصليه …… عند هما لايفسد هما اعتبرا المخارق الاصلية لان الوصول الى الجوف من المخارق الاصلية متقين به ومن غيرها مشكوك فيه فلانحكم بالفساد مع الشك …… .
অর্থঃ- মূল রাস্তা ব্যতীত অন্য কোনো স্থান দিয়ে যদি কোনো কিছু প্রবেশ করানো হয়, আর তা যদি মগজ অথবা পেটে পৌঁছে, তবে ছাহেবাইনের মতে রোযা ভঙ্গ হবে না। (মূলতঃ উনারা দুজন মূল রাস্তাকে গ্রহণ করেছেন, কেননা মূল রাস্তা দিয়ে প্রবেশ করা বিশ্বাসযোগ্য, আর অন্য স্থান দিয়ে প্রবেশ করা সন্দেহযুক্ত। সুতরাং আমরা সন্দেহের উপর ভিত্তি করে রোযা ভঙ্গের আদেশ দিতে পারি না। (বাদায়ে, অনুরূপ ফতহুল ক্বাদীরে উল্লেখ আছে)
প্রসঙ্গে কিতাবে আরো উল্লেখ করা হয় যে,
اذا علم ان اليابس وصل يفسد صومه ولو علم ان الرطب لم يصل لم يفسد هكذا فى العناية واذا لم يعلم احدهما وكان الدواء رطبا فعند ابى حنيفة رحمة الله عليه يفطر للوصول عادة وقال لالعدم العلم به فلايفطر بالشك وان كان يابسا فلايفطر اتفاقا هكذا فى فتح القدير.
অর্থঃ- যখন জানা যাবে যে, শুকনা ওষুধ মগজ অথবা পেটে পৌঁছেছে, তবে তার রোযা ভঙ্গ হয়ে যাবে। আর যদি জানা যায় যে, ভিজা ওষুধ মগজ অথবা পেটে পৌঁছেনি তবে রোযা ভঙ্গ হবে না। অনুরূপ ইনায়া কিতাবে উল্লেখ আছে। আর যদি পৌঁছালো কী, পৌঁছালো না কোনোটিই জানা না যায়, আর এমতাবস্থায় ওষুধ যদি ভিজা হয়, তবে ইমামে যম আবূ হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার মতে রোযা ভঙ্গ হয়ে যাবে। কারণ স্বভাবতঃ ভিজা ওষুধ পৌঁছে থাকে। আর হযরত ছাহেবাইন রহমতুল্লাহি আলাইহিমগণ উনারা বলেন, (ওষুধ মগজে পৌছালো কী পৌঁছালো না) এটা নিশ্চিতভাবে না জানার কারণে রোযা ভঙ্গ হবেনা। কেননা সন্দেহের দ্বারা রোযা ভঙ্গ হয় না। আর যদি ওষুধ শুকনা হয় এবং যদি জানা না যায়, পৌঁছালো কী পৌছালো না, তবে কারো মতেই রোযা ভঙ্গ হবে না। অনুরূপ ফতহুল ক্বাদীরে উল্লেখ আছে। (ফতওয়ায়ে আলমগীরী ১ম জিঃ পৃ ২০৪)
ফতওয়ায়ে হিন্দীয়া কিতাবে বিষয়টা আরো সুস্পষ্টভাবে বলে দেয়া হয়েছে। যেমন বলা হয়-
دواكے اندر پهونچنے كا اعتبار هے اسكے تر يا خشك هونيكا اعتبار نهيں
অর্থঃ- ওষুধ মগজে অথবা পেটে পৌঁছাটাই মূলতঃ গ্রহণযোগ্য অর্থাৎ রোযা ভঙ্গের কারণ। ওষুধ শুকনা বা ভিজা হওয়া নয়।
উপরোক্ত কিতাবসমূহের বক্তব্য দ্বারা এটাই প্রমাণিত হয় যে, ওষুধ ইত্যাদি মূল রাস্তা ব্যতীত অন্যস্থান দিয়ে পৌঁছার ব্যাপারে ইমামে যম আবূ হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার সাথে ছাহেবাইন উনাদের মূলতঃ কোনো মতভেদ নেই। অর্থাৎ উনাদের সকলের মতেই যদি নিশ্চিত জানা যায় যে, ওষুধ ইত্যাদি মগজ অথবা পেটে পৌঁছেছে এবং ওষুধ ইত্যাদি মগজে পৌঁছার ব্যাপারে যদি কোনো সন্দেহ না থাকে, তবে ইমাম যম আবূ হানীফা রহমতুল্লাহি আলাইহি উনার ন্যায়, হযরত ছাহেবাইন উনাদের মতেও রোযা ভঙ্গ হয়ে যাবে। তা মূল রাস্তা দিয়ে প্রবেশ করুক বা অন্য স্থান দিয়েই প্রবেশ করুক না কেন।
অতএব, ইনজেকশনের দ্বারা ব্যবহৃত ওষুধের ব্যাপারে যেহেতু প্রমাণিত হয়েছে যে, তা নিশ্চিত মগজে পৌঁছে, সেহেতু সকলের ঐকমত্যে রোযা অবস্থায় ইনজেকশন নিলে রোযা ভঙ্গ হয়ে যাবে। যদিও তা মূল রাস্তা দিয়ে প্রবেশ করেনি। অতএব, মূল রাস্তা শর্ত নয়, শর্ত হলো মগজ অথবা পেটে পৌঁছা।





==================================================================================================================================================
My Facebook Page       :- www.facebook.com/AbdullahIbneMasud5
---------------------------------------------------------------------------------------------
My Blog site                 :- www.AbdullahIbneMasud5.blogspot.com
---------------------------------------------------------------------------------------------
My Facebook Group     :- www.facebook.com/groups/AbdullahIbneMasud5



No comments

Thanks for your comments. I will reply you as soon as.