শিরোনাম

শীর্ষ ২০ বাঙালী নাস্তিক তালিকা


সর্বকালের সবচেয়ে বিখ্যাত (পড়তে হবে কুখ্যাতবিশ জন বাঙালী নাস্তিক/সেক্যুলারের তালিকা তুলে ধরা হয়েছে এই লেখাটিতে। সময়ের সাথে সাথে তালিকাটি আরো তথ্য সন্নিবেশিত হতে থাকবে ইন-শা আল্লাহ.

 আহমেদ শরীফ: নতুন প্রজন্মের অনেকেই এই নাস্তিকের নাম জানে না। তার একটা বিখ্যাত উক্তি-
পুরুষদের যদি সততা দরকার না হয় তবে নারীদের সতীত্বের কেন দরকারনারীরাও যেভাবে খুশি যৌনাঙ্গ বিলাতে পারবে।
তবে স্বঘোষিত নাস্তিক হলেও সে মানুষের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দিতো কম। তার ইচ্ছা মেনে মৃত্যূর পর তার জানাজা এবং কবর কোনটাই হয়নি।

 হুমায়ুন আজাদ: বাংলা সাহিত্যের অশ্লীল  কুরুচিপুর্ণ লেখার জনক। সারাজীবন ধর্মের প্রতি বিষোদগার করে গেলেও মৃত্যূর পর ধর্ম মেনে ঠিকই তার জানাজা  কবর দেয়া হয়েছেসে এটাই চেয়েছিল কারন মুখে নাস্তিকতার বড় বড় বুলি আওড়ালেও মৃত্যূ পরবর্তী জীবন নিয়ে সম্ভবত সে ভীত ছিল। মেয়ে মৌলি আজাদের ভাষায়-
মাত্রাতিরিক্ত সেক্সের প্রাধান্য থাকতো বাবার উপন্যাসে। তাই মাঝে মধ্যে বিরক্তই হতাম
হুমায়ুন আজাদের কুখ্যাত কিছু উক্তি-
·         এক একটি উর্বশীকে আমি মেপে মেপে দেখি। মাঝারী স্তন আমার পছন্দসরু মাংসল উরু আমার পছন্দ
·         চোখের সামনে আমার মেয়ে বড় হচ্ছে কিন্তু সামাজিক নিয়মের বেড়াজালে আমারহাত-পা বাঁধা
·         বিশ্ববিদ্যালয়ের মেয়েদের চুইংগামের মতো চাবাতে ইচ্ছে করে

 আরজ আলী মাতব্বর: অতি সাধারন অশিক্ষিত এক কৃষক হয়েও সে বাংলার নাস্তিক সমাজের মধ্যমনি। ইসলামী জ্ঞানের স্বল্পতা থাকার দরুন না বুঝেই ইসলাম ধর্ম নিয়ে অনেক অভিযোগ উত্থাপন করেছিল। কুরআন-হাদীসের ভূল ধরতে গিয়ে সে কেবল তার জ্ঞানের সীমাবদ্ধতাকেই তুলে ধরতে পেরেছে। তবুও শুধুমাত্র ইসলাম বিরোধীতা করার কারনে নাস্তিকরা তাকে নিজেদের ধর্মগুরু বানিয়ে নিয়েছে।

 কবি শামসুর রহমান: শামসুর রহমানের একটি কুখ্যাত উক্তি-
 আযানের ধ্বনি বেশ্যার খদ্দের ডাকার ধ্বনির মত মনে হয় (নাউজুবিল্লাহ)
এই একটা উক্তিই প্রমান করে শামসুর রহমান কি পরিমাণ ইসলাম বিদ্বেষী ছিল। তাকে একবার প্রশ্ন করা হয়েছিলআপনি কি চান আপনার কবর হোক আপনার খালার কবরের পাশেনাস্তিকটা জবাব দিয়েছিলআমি তো আমার কবর হোক এটাই চাই না।

 তসলিমা নাসরিন: উনাকে চেনে না এমন লোক খুব কমই আছে। প্রকৃত নাম নাসরিন জাহান তসলিমা। তার একটি বিখ্যাত উক্তি-
পুরুষরা যেমন গরম লাগলে খালি গায়ে ঘুরে বেড়ায় নারীরাও তেমনি খালিগায়ে ঘুরে বেড়াবেতাদের স্তন সবাই দেখবে
লেখক ইমদালুল হক মিলনসুনীল গঙ্গোপাধ্যায়রুদ্র মুহম্মদসৈয়দ শামসুল হকমিনার মাহমুদ সহ আরো অসংখ্য পুরুষ বৈধ/অবৈধভাবে তাকে ভোগ করেছে বলে তসলিমা তার আত্মজীবনিতে অভিযোগ করেছে!! এছাড়াও ফ্রান্সের এক নারীর সাথে সমকামী প্রেম করেছেন বলেও তসলিমা তার আত্মজীবনীতে উল্লেখ করেছে। সে কি মাপের ইসলামবিদ্বেষী সেটা কাউকে বুঝিয়ে বলার প্রয়োজন দেখি না। সে নিজেকে নাস্তিক দাবী করলেও তার যত ক্ষোভযত ঘৃণা সব কিছুই কেবল ইসলাম ধর্মের উপর। সনাতন ধর্ম কিংবা খ্রিস্ট ধর্ম অথবা ইহুদীদের নিয়ে তার কোন মাথাব্যথা চোখে পড়ে না। ১৯৯৪ সালের আগষ্ট মাসে তাকে দেশ থেকে বিতাড়িত করা হয়। কুরআন সংশোধন করার ইচ্ছা প্রকাশ করাসহ ইসলাম ধর্ম অবমাননা করে নানা রকম উস্কানিমূলক লেখালেখি করার কারনে তার শাস্তির দাবীতে ঢাকায় তিন লক্ষ মানুষের একটি বিশাল সমাবেশ হয় এবং সারাদেশে ধর্মঘটের ডাক দেয়া হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে বাধ্য হয়ে সরকার তার বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে। তসলিমা নাসরিন দুই মাস পালিয়ে থেকে অনেকটা চোরের মত গোপনে (অনেকের মতে বোরকা পরিধান করেদেশ ত্যাগ করেন। অতঃপর কয়েক বছর সুইডেনজার্মানীফ্রান্স  আমেরিকা দেশে বসবাস করার পর বর্তমানে ভারতে থিতু হয়েছেন। 

 আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী: উনাকে তো সবাই চেনেন। বেশি কিছু বলার নাই। আলোচিত কিছু উক্তি-
·         ধর্ম তামাক  মদের মত একটি নেশা।
·         মোল্লাদের কোন কাজ নেই তাই তারা ঘন ঘন মসজিদ তৈরি করেছে।
·         টাকা ইনকামের জন্য আব্দুল্লাহর পুত্র মোহাম্মদ হজ্জের প্রবর্তন করেছিল।
·         সভা-সমাবেশের শুরুতে কুরআন তেলাওয়াত বন্ধ করা দরকার।

 বাউল লালন শাহ: সুবিধাবাদী সেক্যুলার। কোন ধর্ম পালন করতো না। জীবনে যতবার গাজা টেনেছে ততবার ভাত খেয়েছে কিনা সন্দেহ। দেশের সকল নাস্তিক লালন বলতে অজ্ঞান। লালনের অনুসারিরা লালনের জন্মদিনে গাজা খাওয়ার উৎসব করে থাকে। লালন এমন এক পৃথিবীর স্বপ্ন দেখতো যেখানে ধর্ম বলে কিছু থাকবে নাহিন্দু-মুসলিম-খ্রিষ্টান এরকম কোন ধর্মীয় পরিচয় মানুষের থাকবে না।

 জাফর ইকবাল: বাংলাদেশের নাস্তিকতা প্রচারের মিশন দিয়ে আমেরিকার একটি বিশেষ সংস্থা তাকে বাংলাদেশে পাঠিয়েছে বলে ধারনা করা হয়। তরুন সমাজকে নাস্তিক হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। নিজে মুক্তিযুদ্ধ না করলেও জাফর ইকবাল এখন মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিক্রি করেই মূলত জীবিকা নির্বাহ করেন। জাফর ইকবালের দাবী তিনি পাকিস্তানের দোষর রাজাকারদের ঘৃণা করেনকিন্তু আশ্চর্য্য হলেও সত্য ৭১ সালে পাকিস্তানকে সর্বপ্রকার সমর্থন  সামরিক সাহায্য দেয়া রাষ্ট্র আমেরিকার ব্যাপারে তার কোন চুলকানিই নেই। বরং জাফর ইকবাল দীর্ঘদিন আমেরিকায় পড়াশোনা  চাকরী করেছেন এবং এখন তিনি তার ছেলে-মেয়েদেরকেও আমেরিকায় পাঠিয়েছেন পড়াশোনা করার জন্য!

 লেখক আনিসুল হক: সেকুলার লেখক আনিসুল হক বামপন্থী পত্রিকা প্রথম আলোর সহকারী সম্পাদক। ১৯৯১ সালে তিনি কুরআনের একটি সূরাকে ব্যঙ্গ করে প্যারোডি সূরা রচনা করেনবছরখানেক আগে তার  লেখা পুনঃপ্রকাশিত হলে বিভিন্ন ইসলামপন্থী সংগঠনের প্রতিবাদ আন্দোলনে দেশ উত্তাল হয়ে ওঠে। ভয় পেয়ে সেক্যুলারপন্থী আনিসুল হক নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেন। এরপর তিনি আরো কৌশলী হয়ে উঠেনসরাসরি ইসলাম অবমাননা না করে এখন তিনি তার নাটক-সিনেমা  পত্রিকা দ্বারা ইসলাম বিরোধী তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন।

১০ সুলতানা কামাল: জন্মসূত্রে মুসলমান হলেও বিয়ে করেছে শ্রী সুপ্রিয় চক্রবর্তী নামে এক হিন্দুকে। কপালে সবসময় একটা ট্রেডমার্ক টিপ থাকে। সংবিধান থেকে বিসমিল্লাহ  রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম তুলে দেয়ার জন্য বহু বছর ধরে চেষ্টা করে যাচ্ছে এই কুখ্যাত সেক্যুলার। ইসলাম বিদ্বেষী নাস্তিকদের প্রতি সে প্রকাশ্য সমর্থন দিয়ে থাকে। আসিফ মহিউদ্দিন নামক উগ্র নাস্তিককে ইসলাম অবমাননার অভিযোগে যখন ডিবি পুলিশ গ্রেফতার করেছিল তখন সে আসিফকে ছাড়ানোর চেষ্টা করেছিল। সারারাত থানায় অবস্থান করে নাস্তিক আসিফকে নৈতিক সমর্থন দিয়েছিল।

১১ প্রবীর ঘোষ: বর্তমান সময়ের একজন খাটি নাস্তিক। কলকাতার নাস্তিকদের মধ্যে সে সবচেয়ে জনপ্রিয়। সকল ধর্মের বিরোধী প্রবীর ঘোষ ধর্মমুক্ত একটি বিশ্ব চায়। তার অসংখ্য,ভক্ত-সমর্থক রয়েছে।

১২ কবির চৌধুরী: চরমপন্থী এই নাস্তিক একবার বলেছিল-
তোমরা আমার মরণের সময় মোহাম্মদের জ্বালাও-পুড়াও  কালেমা শুনাবে নাবরং রবীন্দ্রনাথের একটি সংগীত আমাকে শুনাবে
এই উগ্র নাস্তিক মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী ছিল এবং ৭১ সালে পাক সরকারের বিশ্বস্ত অনুচর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছে। কিন্তু নাস্তিক হওয়ার কারনে আজ তার সাত খুন মাফমুক্তিযুদ্ধের চেতনাধারীরা আজ তাকে মাথায় তুলে নাচে। সংবিধানে ‌’বিসমিল্লাহ রাখার ব্যাপারেও কবির চৌধুরী আপত্তি তুলেছিলো।

১৩ সৈয়দ শামসুল হক: এটা আরেক উগ্র সেক্যুলার। অন্যান্য নাস্তিকের মত এটাও ছিল নোংরামিতে সিদ্ধহস্ত। এর একটা কবিতা হল এরকম-
যখন দুস্তন মেলে ডেকে নিলে বুকের ওপরে
স্বর্গের জঘন খুলে দেখালে যে দীপ্তির প্রকাশ
মুহুর্তেই ঘুচে গেল তৃষিতের অপেক্ষার ত্রাশ
আরেকটা কবিতা এরকম-
শত বাধা সত্ত্বেও থামতে পারে না কামুক পুরুষ
দুজনের দেহ ছিড়ে বের হয় দুধ-পূর্ণিমা
আর তা নেমে আসে স্তনের চুড়ায়

১৪ মুনতাসির মামুন: এই স্বঘোষিত নাস্তিক একবার বলেছিল-
·         সভা-সমাবেশে বিসমিল্লাহ বলা বা কুরআন পড়ার দরকার নেই। সংবিধানে বিসমিল্লাহ থাকা আমাদের জন্য অপমান সরূপ। আমরা তো সংবিধানে আল্লাহর নাম অথবা বিছমিল্লাহ থাকবে সেজন্য দেশ স্বাধীন করিনি। ধর্ম যেমন ভন্ডামী তেমনি মৌলবাদিদের সব ভন্ডামী  বঙ্গ ভবনের দেয়ালে কুরান শরীফের আয়াত লেখা এটা একটা চরম ভন্ডামী
মুনতাসির মামুনের দূঃসাহসী আরেকটা মন্তব্য-
·         এদেশে এক জন মুসলমানও যত দিন থাকবে ততদিন পর্যন্ত আমাদের সংগ্রাম চলবেই চলবে

১৫ ব্লগার রাজীব (থাবা বাবা): এই নাস্তিক হযরত মোহাম্মদ (সাকে হযরত মহাউন্মাদ কিংবা মোহাম্মক (মহা+আহাম্মকনামে ডাকতো (নাউজুবিল্লাহ) হাদীসকে চটি গ্রন্থ এবং কুরআনকে সে কৌতুকের বই বলে আখ্যায়িত করতো। বিভিন্ন সময়ে আল্লাহরাসূল (সা বিভিন্ন সাহাবীদেরকে নিয়ে চটি গল্প লিখে ধর্মকারী নামক ব্লগে প্রকাশ করতো। কুরআনের বিভিন্ন আয়াতের উদ্বৃতি দিয়ে সেগুলোর নিজের মনগড়া ব্যাখ্যা দিয়ে ঠাট্টা  হাসি-তামাশা করতো। তার এসব কার্যকলাপ তাকে এদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে কুখ্যাত ইসলাম বিদ্বেষী নাস্তিকের মর্যাদা দিয়েছে। তার বেশিরভাগ লেখাই প্রকাশযোগ্য নয়। তার কার্যকলাপে অতিষ্ঠ হয়ে অবশেষে  জন ধর্মপ্রাণ মুসলিম এই মুরতাদকে হত্যা করে জাহান্নামের টিকিট ধরিয়ে দেয়। তার মৃত্যুর পর সরকার এবং শাহবাগের অন্যান্য নাস্তিকরা তাকে দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধের প্রথম শহীদ হিসেবে আখ্যায়িত করে!!

১৬ আসিফ মহিউদ্দিন: বর্তমান সময়ের আরেক কুখ্যাত নাস্তিক। অন্যান্য নাস্তিকের মত এটাও চরিত্রহীন  লম্পট। ওর নাম লিখে ইন্টারনেটে সার্চ দিলেই মদের বোতল হাতে মাতলামি করা অবস্থায় একটা ছবি খুজে পাবেন। ইসলাম অবমাননার দিক দিয়ে থাবা বাবার পরেই তার অবস্থান। তার ইসলামবিদ্বেষী কার্যকলাপে খুশী হয়ে জার্মান সরকার তাকে ঐদেশের ভিসা উপহার দিয়েছে। বর্তমানে সে জার্মানী থেকে ফেসবুক  ব্লগে ইসলাম বিদ্বেষী লেখালেখি করে থাকে। আসিফের দাবি আল্লাহ নিজেই নাস্তিকঅতএব নাস্তিক হওয়াটা দোষের কিছু না। আসিফ মহিউদ্দিন পবিত্র কুরআনকে আহাম্মোকোপিডিয়া বলে থাকে। সে কুরআনের আয়াতকে বিকৃত করে আউজুবিল্লাহি মিনাশ শাইতানির নাস্তিকানির নাজিম বলে এবং মহানবী (সাএর কল্পিত ছবি তার ব্লগে প্রকাশ করে।

১৭ ফরহাদ মজহার: এই লিস্টে উনার নাম দেখে অনেকেই চমকে গেছেন!! তাইনা?? আওয়ামীলীগ-বিরোধী অবস্থান নেয়ার কারনে অনেকে তার আসল পরিচয় জানে না। এক সময় সে ছিল একজন কুখ্যাত ইসলামবিদ্বেষী নাস্তিকবর্তমানে তার ভূমিকা বেশ রহস্যজনক। সে এখন আর আগের মত নাস্তিকতা প্রচার করে বেড়ায় নাবরং ইসলামপন্থীদের পক্ষাবলম্বন করে কলাম লেখে-বিবৃতি দেয়। কিন্তু সেটা যতটা না আদর্শগত কারনে তারচেয়ে বেশি রাজনৈতিক কারনে। সে এখনো নাস্তিক আছে নাকি তওবা করে মুসলমান হয়েছে তা নিশ্চিত হওয়া যায় নি। নব্বইয়ের দশকে এবাদত নামা নামে একটি ইসলাম বিদ্বেষী কাব্যগ্রন্থ লিখে সে বেশ বিতর্কিত হয়েছিল। কয়েকটা লাইন উল্লেখ করছি:
বিবি খাদিজার নামে আমি এই পদ্যটি লিখি,
বিসমিল্লাহ কহিব নাশুধু খাদিজার নাম নেবো।
নবীজীর নামউহুতার নামও নেবোনা মালিক
শুধু খাদিজার নামদুনিয়ায় আমি সব নাম ভুলে যাব
তোমাকেও ভুলে যাবোভুলে যাবে নবীকে আমার।
তার আরেকটা কবিতা আরো মারাত্মক-
দুনিয়া রেজিস্ট্রি করতিলেক হিম্মত নাই
আধা ছটাকের নাই তেজ
সাত আসমানে প্রভু খোদাতালা হয়ে বসে আছ
মুখে খালি কহ শুনি দুনিয়ার তুমিই মালিক
অথচ মালিক অন্যে,অন্যে কহিতেছে তারা খোদা
মালিক  জমিনের -প্রত্যেকেই তোমার শরিক
তোমার শরিক নাই এই কথা তবে কি বোগাস?
এদের দলিল যদি মিথ্যা হয় যাও আদালতে
উকিল ধরিয়া করো দুনিয়া রেজিস্ট্রি নিজ নামে

১৮ শফিক রেহমান: বাংলাদেশে ভ্যালেন্টাইন ডে নামক বিজাতীয় সংস্কৃতির প্রবর্তক। ১৯৯৩ সালে এই নাস্তিক সর্বপ্রথম তার পত্রিকা যায়যায়দিন এর মাধ্যমে এদেশে ভালবাসা দিবস এর প্রচলন ঘটায়। শফিক রেহমানকে বাংলাদেশের চটি সাহিত্যের জনক বলা হয়। অশ্লীলতার দিক দিয়ে হুমায়ুন আজাদও উনার কাছে নস্যি। শফিক মৌচাকে ঢিল নামক একটি সেমি-চটি ম্যাগাজিনের সম্পাদক। এছাড়া বাংলাদেশে লিভ টুগেদার ছড়িয়ে দেয়ার পেছনে সবচেয়ে বেশি অবদান শফিক রেহমানের। তার বিরুদ্ধে সমকামীতার অভিযোগও রয়েছে।

১৯ দাউদ হায়দার: বাংলাদেশে ধর্মবিদ্বেষী লেখালেখি করে সর্বপ্রথম দেশ থেকে নির্বাসিত হয়েছিলেন কবি দাউদ হায়দার। ১৯৭৪ সালে দাউদ হায়দার বিভিন্ন ধর্মের নবী  অবতারদের নিয়ে বিতর্কিত একটি কবিতা লিখেছিলেন এবং সেই কবিতা মসজিদের সামনে নিজ হাতে ঝুলিয়ে আসলে দেশব্যাপী প্রবল প্রতিবাদ শুরু হয়। জনরোষ থেকে তাকে বাঁচানোর জন্য সরকার দেশ থেকে বের করে দিয়েছিল। এরপর কয়েক বছর ভারতে অবস্থান করার পর দাউদ হায়দারের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয় জার্মানী। তারা তাকে শেল্টার দেয় এবং তার পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করে। এরপর থেকে দাউদ জার্মানীতেই ঘাঁটি গেড়ে আছে।



==================================================================================================================================================
My Facebook Page          :- www.facebook.com/AbdullahIbneMasud5
---------------------------------------------------------------------------------------------
My Blog site          :- www.AbdullahIbneMasud5.blogspot.com
---------------------------------------------------------------------------------------------
My Facebook Group        :- www.facebook.com/groups/AbdullahIbneMasud5



সর্বকালের সবচেয়ে বিখ্যাত (পড়তে হবে কুখ্যাতবিশ জন বাঙালী নাস্তিক/সেক্যুলারের তালিকা তুলে ধরা হয়েছে এই লেখাটিতে। সময়ের সাথে সাথে তালিকাটি আরো তথ্য সন্নিবেশিত হতে থাকবে ইন-শা আল্লাহ.

 আহমেদ শরীফ: নতুন প্রজন্মের অনেকেই এই নাস্তিকের নাম জানে না। তার একটা বিখ্যাত উক্তি-
পুরুষদের যদি সততা দরকার না হয় তবে নারীদের সতীত্বের কেন দরকারনারীরাও যেভাবে খুশি যৌনাঙ্গ বিলাতে পারবে।
তবে স্বঘোষিত নাস্তিক হলেও সে মানুষের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দিতো কম। তার ইচ্ছা মেনে মৃত্যূর পর তার জানাজা এবং কবর কোনটাই হয়নি।

 হুমায়ুন আজাদ: বাংলা সাহিত্যের অশ্লীল  কুরুচিপুর্ণ লেখার জনক। সারাজীবন ধর্মের প্রতি বিষোদগার করে গেলেও মৃত্যূর পর ধর্ম মেনে ঠিকই তার জানাজা  কবর দেয়া হয়েছেসে এটাই চেয়েছিল কারন মুখে নাস্তিকতার বড় বড় বুলি আওড়ালেও মৃত্যূ পরবর্তী জীবন নিয়ে সম্ভবত সে ভীত ছিল। মেয়ে মৌলি আজাদের ভাষায়-
মাত্রাতিরিক্ত সেক্সের প্রাধান্য থাকতো বাবার উপন্যাসে। তাই মাঝে মধ্যে বিরক্তই হতাম
হুমায়ুন আজাদের কুখ্যাত কিছু উক্তি-
·         এক একটি উর্বশীকে আমি মেপে মেপে দেখি। মাঝারী স্তন আমার পছন্দসরু মাংসল উরু আমার পছন্দ
·         চোখের সামনে আমার মেয়ে বড় হচ্ছে কিন্তু সামাজিক নিয়মের বেড়াজালে আমারহাত-পা বাঁধা
·         বিশ্ববিদ্যালয়ের মেয়েদের চুইংগামের মতো চাবাতে ইচ্ছে করে

 আরজ আলী মাতব্বর: অতি সাধারন অশিক্ষিত এক কৃষক হয়েও সে বাংলার নাস্তিক সমাজের মধ্যমনি। ইসলামী জ্ঞানের স্বল্পতা থাকার দরুন না বুঝেই ইসলাম ধর্ম নিয়ে অনেক অভিযোগ উত্থাপন করেছিল। কুরআন-হাদীসের ভূল ধরতে গিয়ে সে কেবল তার জ্ঞানের সীমাবদ্ধতাকেই তুলে ধরতে পেরেছে। তবুও শুধুমাত্র ইসলাম বিরোধীতা করার কারনে নাস্তিকরা তাকে নিজেদের ধর্মগুরু বানিয়ে নিয়েছে।

 কবি শামসুর রহমান: শামসুর রহমানের একটি কুখ্যাত উক্তি-
 আযানের ধ্বনি বেশ্যার খদ্দের ডাকার ধ্বনির মত মনে হয় (নাউজুবিল্লাহ)
এই একটা উক্তিই প্রমান করে শামসুর রহমান কি পরিমাণ ইসলাম বিদ্বেষী ছিল। তাকে একবার প্রশ্ন করা হয়েছিলআপনি কি চান আপনার কবর হোক আপনার খালার কবরের পাশেনাস্তিকটা জবাব দিয়েছিলআমি তো আমার কবর হোক এটাই চাই না।

 তসলিমা নাসরিন: উনাকে চেনে না এমন লোক খুব কমই আছে। প্রকৃত নাম নাসরিন জাহান তসলিমা। তার একটি বিখ্যাত উক্তি-
পুরুষরা যেমন গরম লাগলে খালি গায়ে ঘুরে বেড়ায় নারীরাও তেমনি খালিগায়ে ঘুরে বেড়াবেতাদের স্তন সবাই দেখবে
লেখক ইমদালুল হক মিলনসুনীল গঙ্গোপাধ্যায়রুদ্র মুহম্মদসৈয়দ শামসুল হকমিনার মাহমুদ সহ আরো অসংখ্য পুরুষ বৈধ/অবৈধভাবে তাকে ভোগ করেছে বলে তসলিমা তার আত্মজীবনিতে অভিযোগ করেছে!! এছাড়াও ফ্রান্সের এক নারীর সাথে সমকামী প্রেম করেছেন বলেও তসলিমা তার আত্মজীবনীতে উল্লেখ করেছে। সে কি মাপের ইসলামবিদ্বেষী সেটা কাউকে বুঝিয়ে বলার প্রয়োজন দেখি না। সে নিজেকে নাস্তিক দাবী করলেও তার যত ক্ষোভযত ঘৃণা সব কিছুই কেবল ইসলাম ধর্মের উপর। সনাতন ধর্ম কিংবা খ্রিস্ট ধর্ম অথবা ইহুদীদের নিয়ে তার কোন মাথাব্যথা চোখে পড়ে না। ১৯৯৪ সালের আগষ্ট মাসে তাকে দেশ থেকে বিতাড়িত করা হয়। কুরআন সংশোধন করার ইচ্ছা প্রকাশ করাসহ ইসলাম ধর্ম অবমাননা করে নানা রকম উস্কানিমূলক লেখালেখি করার কারনে তার শাস্তির দাবীতে ঢাকায় তিন লক্ষ মানুষের একটি বিশাল সমাবেশ হয় এবং সারাদেশে ধর্মঘটের ডাক দেয়া হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে বাধ্য হয়ে সরকার তার বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে। তসলিমা নাসরিন দুই মাস পালিয়ে থেকে অনেকটা চোরের মত গোপনে (অনেকের মতে বোরকা পরিধান করেদেশ ত্যাগ করেন। অতঃপর কয়েক বছর সুইডেনজার্মানীফ্রান্স  আমেরিকা দেশে বসবাস করার পর বর্তমানে ভারতে থিতু হয়েছেন। 

 আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী: উনাকে তো সবাই চেনেন। বেশি কিছু বলার নাই। আলোচিত কিছু উক্তি-
·         ধর্ম তামাক  মদের মত একটি নেশা।
·         মোল্লাদের কোন কাজ নেই তাই তারা ঘন ঘন মসজিদ তৈরি করেছে।
·         টাকা ইনকামের জন্য আব্দুল্লাহর পুত্র মোহাম্মদ হজ্জের প্রবর্তন করেছিল।
·         সভা-সমাবেশের শুরুতে কুরআন তেলাওয়াত বন্ধ করা দরকার।

 বাউল লালন শাহ: সুবিধাবাদী সেক্যুলার। কোন ধর্ম পালন করতো না। জীবনে যতবার গাজা টেনেছে ততবার ভাত খেয়েছে কিনা সন্দেহ। দেশের সকল নাস্তিক লালন বলতে অজ্ঞান। লালনের অনুসারিরা লালনের জন্মদিনে গাজা খাওয়ার উৎসব করে থাকে। লালন এমন এক পৃথিবীর স্বপ্ন দেখতো যেখানে ধর্ম বলে কিছু থাকবে নাহিন্দু-মুসলিম-খ্রিষ্টান এরকম কোন ধর্মীয় পরিচয় মানুষের থাকবে না।

 জাফর ইকবাল: বাংলাদেশের নাস্তিকতা প্রচারের মিশন দিয়ে আমেরিকার একটি বিশেষ সংস্থা তাকে বাংলাদেশে পাঠিয়েছে বলে ধারনা করা হয়। তরুন সমাজকে নাস্তিক হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। নিজে মুক্তিযুদ্ধ না করলেও জাফর ইকবাল এখন মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিক্রি করেই মূলত জীবিকা নির্বাহ করেন। জাফর ইকবালের দাবী তিনি পাকিস্তানের দোষর রাজাকারদের ঘৃণা করেনকিন্তু আশ্চর্য্য হলেও সত্য ৭১ সালে পাকিস্তানকে সর্বপ্রকার সমর্থন  সামরিক সাহায্য দেয়া রাষ্ট্র আমেরিকার ব্যাপারে তার কোন চুলকানিই নেই। বরং জাফর ইকবাল দীর্ঘদিন আমেরিকায় পড়াশোনা  চাকরী করেছেন এবং এখন তিনি তার ছেলে-মেয়েদেরকেও আমেরিকায় পাঠিয়েছেন পড়াশোনা করার জন্য!

 লেখক আনিসুল হক: সেকুলার লেখক আনিসুল হক বামপন্থী পত্রিকা প্রথম আলোর সহকারী সম্পাদক। ১৯৯১ সালে তিনি কুরআনের একটি সূরাকে ব্যঙ্গ করে প্যারোডি সূরা রচনা করেনবছরখানেক আগে তার  লেখা পুনঃপ্রকাশিত হলে বিভিন্ন ইসলামপন্থী সংগঠনের প্রতিবাদ আন্দোলনে দেশ উত্তাল হয়ে ওঠে। ভয় পেয়ে সেক্যুলারপন্থী আনিসুল হক নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনা করেন। এরপর তিনি আরো কৌশলী হয়ে উঠেনসরাসরি ইসলাম অবমাননা না করে এখন তিনি তার নাটক-সিনেমা  পত্রিকা দ্বারা ইসলাম বিরোধী তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন।

১০ সুলতানা কামাল: জন্মসূত্রে মুসলমান হলেও বিয়ে করেছে শ্রী সুপ্রিয় চক্রবর্তী নামে এক হিন্দুকে। কপালে সবসময় একটা ট্রেডমার্ক টিপ থাকে। সংবিধান থেকে বিসমিল্লাহ  রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম তুলে দেয়ার জন্য বহু বছর ধরে চেষ্টা করে যাচ্ছে এই কুখ্যাত সেক্যুলার। ইসলাম বিদ্বেষী নাস্তিকদের প্রতি সে প্রকাশ্য সমর্থন দিয়ে থাকে। আসিফ মহিউদ্দিন নামক উগ্র নাস্তিককে ইসলাম অবমাননার অভিযোগে যখন ডিবি পুলিশ গ্রেফতার করেছিল তখন সে আসিফকে ছাড়ানোর চেষ্টা করেছিল। সারারাত থানায় অবস্থান করে নাস্তিক আসিফকে নৈতিক সমর্থন দিয়েছিল।

১১ প্রবীর ঘোষ: বর্তমান সময়ের একজন খাটি নাস্তিক। কলকাতার নাস্তিকদের মধ্যে সে সবচেয়ে জনপ্রিয়। সকল ধর্মের বিরোধী প্রবীর ঘোষ ধর্মমুক্ত একটি বিশ্ব চায়। তার অসংখ্য,ভক্ত-সমর্থক রয়েছে।

১২ কবির চৌধুরী: চরমপন্থী এই নাস্তিক একবার বলেছিল-
তোমরা আমার মরণের সময় মোহাম্মদের জ্বালাও-পুড়াও  কালেমা শুনাবে নাবরং রবীন্দ্রনাথের একটি সংগীত আমাকে শুনাবে
এই উগ্র নাস্তিক মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী ছিল এবং ৭১ সালে পাক সরকারের বিশ্বস্ত অনুচর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছে। কিন্তু নাস্তিক হওয়ার কারনে আজ তার সাত খুন মাফমুক্তিযুদ্ধের চেতনাধারীরা আজ তাকে মাথায় তুলে নাচে। সংবিধানে ‌’বিসমিল্লাহ রাখার ব্যাপারেও কবির চৌধুরী আপত্তি তুলেছিলো।

১৩ সৈয়দ শামসুল হক: এটা আরেক উগ্র সেক্যুলার। অন্যান্য নাস্তিকের মত এটাও ছিল নোংরামিতে সিদ্ধহস্ত। এর একটা কবিতা হল এরকম-
যখন দুস্তন মেলে ডেকে নিলে বুকের ওপরে
স্বর্গের জঘন খুলে দেখালে যে দীপ্তির প্রকাশ
মুহুর্তেই ঘুচে গেল তৃষিতের অপেক্ষার ত্রাশ
আরেকটা কবিতা এরকম-
শত বাধা সত্ত্বেও থামতে পারে না কামুক পুরুষ
দুজনের দেহ ছিড়ে বের হয় দুধ-পূর্ণিমা
আর তা নেমে আসে স্তনের চুড়ায়

১৪ মুনতাসির মামুন: এই স্বঘোষিত নাস্তিক একবার বলেছিল-
·         সভা-সমাবেশে বিসমিল্লাহ বলা বা কুরআন পড়ার দরকার নেই। সংবিধানে বিসমিল্লাহ থাকা আমাদের জন্য অপমান সরূপ। আমরা তো সংবিধানে আল্লাহর নাম অথবা বিছমিল্লাহ থাকবে সেজন্য দেশ স্বাধীন করিনি। ধর্ম যেমন ভন্ডামী তেমনি মৌলবাদিদের সব ভন্ডামী  বঙ্গ ভবনের দেয়ালে কুরান শরীফের আয়াত লেখা এটা একটা চরম ভন্ডামী
মুনতাসির মামুনের দূঃসাহসী আরেকটা মন্তব্য-
·         এদেশে এক জন মুসলমানও যত দিন থাকবে ততদিন পর্যন্ত আমাদের সংগ্রাম চলবেই চলবে

১৫ ব্লগার রাজীব (থাবা বাবা): এই নাস্তিক হযরত মোহাম্মদ (সাকে হযরত মহাউন্মাদ কিংবা মোহাম্মক (মহা+আহাম্মকনামে ডাকতো (নাউজুবিল্লাহ) হাদীসকে চটি গ্রন্থ এবং কুরআনকে সে কৌতুকের বই বলে আখ্যায়িত করতো। বিভিন্ন সময়ে আল্লাহরাসূল (সা বিভিন্ন সাহাবীদেরকে নিয়ে চটি গল্প লিখে ধর্মকারী নামক ব্লগে প্রকাশ করতো। কুরআনের বিভিন্ন আয়াতের উদ্বৃতি দিয়ে সেগুলোর নিজের মনগড়া ব্যাখ্যা দিয়ে ঠাট্টা  হাসি-তামাশা করতো। তার এসব কার্যকলাপ তাকে এদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে কুখ্যাত ইসলাম বিদ্বেষী নাস্তিকের মর্যাদা দিয়েছে। তার বেশিরভাগ লেখাই প্রকাশযোগ্য নয়। তার কার্যকলাপে অতিষ্ঠ হয়ে অবশেষে  জন ধর্মপ্রাণ মুসলিম এই মুরতাদকে হত্যা করে জাহান্নামের টিকিট ধরিয়ে দেয়। তার মৃত্যুর পর সরকার এবং শাহবাগের অন্যান্য নাস্তিকরা তাকে দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধের প্রথম শহীদ হিসেবে আখ্যায়িত করে!!

১৬ আসিফ মহিউদ্দিন: বর্তমান সময়ের আরেক কুখ্যাত নাস্তিক। অন্যান্য নাস্তিকের মত এটাও চরিত্রহীন  লম্পট। ওর নাম লিখে ইন্টারনেটে সার্চ দিলেই মদের বোতল হাতে মাতলামি করা অবস্থায় একটা ছবি খুজে পাবেন। ইসলাম অবমাননার দিক দিয়ে থাবা বাবার পরেই তার অবস্থান। তার ইসলামবিদ্বেষী কার্যকলাপে খুশী হয়ে জার্মান সরকার তাকে ঐদেশের ভিসা উপহার দিয়েছে। বর্তমানে সে জার্মানী থেকে ফেসবুক  ব্লগে ইসলাম বিদ্বেষী লেখালেখি করে থাকে। আসিফের দাবি আল্লাহ নিজেই নাস্তিকঅতএব নাস্তিক হওয়াটা দোষের কিছু না। আসিফ মহিউদ্দিন পবিত্র কুরআনকে আহাম্মোকোপিডিয়া বলে থাকে। সে কুরআনের আয়াতকে বিকৃত করে আউজুবিল্লাহি মিনাশ শাইতানির নাস্তিকানির নাজিম বলে এবং মহানবী (সাএর কল্পিত ছবি তার ব্লগে প্রকাশ করে।

১৭ ফরহাদ মজহার: এই লিস্টে উনার নাম দেখে অনেকেই চমকে গেছেন!! তাইনা?? আওয়ামীলীগ-বিরোধী অবস্থান নেয়ার কারনে অনেকে তার আসল পরিচয় জানে না। এক সময় সে ছিল একজন কুখ্যাত ইসলামবিদ্বেষী নাস্তিকবর্তমানে তার ভূমিকা বেশ রহস্যজনক। সে এখন আর আগের মত নাস্তিকতা প্রচার করে বেড়ায় নাবরং ইসলামপন্থীদের পক্ষাবলম্বন করে কলাম লেখে-বিবৃতি দেয়। কিন্তু সেটা যতটা না আদর্শগত কারনে তারচেয়ে বেশি রাজনৈতিক কারনে। সে এখনো নাস্তিক আছে নাকি তওবা করে মুসলমান হয়েছে তা নিশ্চিত হওয়া যায় নি। নব্বইয়ের দশকে এবাদত নামা নামে একটি ইসলাম বিদ্বেষী কাব্যগ্রন্থ লিখে সে বেশ বিতর্কিত হয়েছিল। কয়েকটা লাইন উল্লেখ করছি:
বিবি খাদিজার নামে আমি এই পদ্যটি লিখি,
বিসমিল্লাহ কহিব নাশুধু খাদিজার নাম নেবো।
নবীজীর নামউহুতার নামও নেবোনা মালিক
শুধু খাদিজার নামদুনিয়ায় আমি সব নাম ভুলে যাব
তোমাকেও ভুলে যাবোভুলে যাবে নবীকে আমার।
তার আরেকটা কবিতা আরো মারাত্মক-
দুনিয়া রেজিস্ট্রি করতিলেক হিম্মত নাই
আধা ছটাকের নাই তেজ
সাত আসমানে প্রভু খোদাতালা হয়ে বসে আছ
মুখে খালি কহ শুনি দুনিয়ার তুমিই মালিক
অথচ মালিক অন্যে,অন্যে কহিতেছে তারা খোদা
মালিক  জমিনের -প্রত্যেকেই তোমার শরিক
তোমার শরিক নাই এই কথা তবে কি বোগাস?
এদের দলিল যদি মিথ্যা হয় যাও আদালতে
উকিল ধরিয়া করো দুনিয়া রেজিস্ট্রি নিজ নামে

১৮ শফিক রেহমান: বাংলাদেশে ভ্যালেন্টাইন ডে নামক বিজাতীয় সংস্কৃতির প্রবর্তক। ১৯৯৩ সালে এই নাস্তিক সর্বপ্রথম তার পত্রিকা যায়যায়দিন এর মাধ্যমে এদেশে ভালবাসা দিবস এর প্রচলন ঘটায়। শফিক রেহমানকে বাংলাদেশের চটি সাহিত্যের জনক বলা হয়। অশ্লীলতার দিক দিয়ে হুমায়ুন আজাদও উনার কাছে নস্যি। শফিক মৌচাকে ঢিল নামক একটি সেমি-চটি ম্যাগাজিনের সম্পাদক। এছাড়া বাংলাদেশে লিভ টুগেদার ছড়িয়ে দেয়ার পেছনে সবচেয়ে বেশি অবদান শফিক রেহমানের। তার বিরুদ্ধে সমকামীতার অভিযোগও রয়েছে।

১৯ দাউদ হায়দার: বাংলাদেশে ধর্মবিদ্বেষী লেখালেখি করে সর্বপ্রথম দেশ থেকে নির্বাসিত হয়েছিলেন কবি দাউদ হায়দার। ১৯৭৪ সালে দাউদ হায়দার বিভিন্ন ধর্মের নবী  অবতারদের নিয়ে বিতর্কিত একটি কবিতা লিখেছিলেন এবং সেই কবিতা মসজিদের সামনে নিজ হাতে ঝুলিয়ে আসলে দেশব্যাপী প্রবল প্রতিবাদ শুরু হয়। জনরোষ থেকে তাকে বাঁচানোর জন্য সরকার দেশ থেকে বের করে দিয়েছিল। এরপর কয়েক বছর ভারতে অবস্থান করার পর দাউদ হায়দারের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয় জার্মানী। তারা তাকে শেল্টার দেয় এবং তার পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করে। এরপর থেকে দাউদ জার্মানীতেই ঘাঁটি গেড়ে আছে।



==================================================================================================================================================
My Facebook Page          :- www.facebook.com/AbdullahIbneMasud5
---------------------------------------------------------------------------------------------
My Blog site          :- www.AbdullahIbneMasud5.blogspot.com
---------------------------------------------------------------------------------------------
My Facebook Group        :- www.facebook.com/groups/AbdullahIbneMasud5



No comments

Thanks for your comments. I will reply you as soon as.