শিরোনাম

কোটা সংস্কারকারীদের মেরে ফেলার হুমকি

তুই বাঁচবিনা! এইটা কোন ধরণের সন্ত্রাসী?
কিছু মানুষ নিজের জীবন বাজি রেখে কোটা সংস্কারের জন্য নেতৃত্ব দিচ্ছে বলে ছাত্রলীগের ছেলেরা প্রকাশ্যে হুমকি দেয় কিভাবে? এর বুকের কলিজাটা ছিড়ে দেখার দরকার। সে কতবড় ছাত্রলীগের কর্মী হয়ে গেছে। আরে মূর্খের বাচ্চা তোদের কি পড়ালেখা শেষ হবেনা? তোরা কি চাকরী করবিনা? নাকি তোদের নেতারা তোদের চাকরি দিবে বিনা সার্টিফিকেটেই? নাকি "ছাত্রলীগ কোটা" বানানোর টালবাহানা চলছে!

ছিঃ ছিঃ আমার ভাবতেই লজ্জায় ঘেন্না হচ্ছে! যেই ভাইয়েরা দেশের ২৫লক্ষ শিক্ষার্থীদের অধিকারের কথা বলছে। যে ভাইয়েরা দিনরাত এক করে কোটা সংস্কারের জন্য গলা ফাটিয়ে যাচ্ছে তাদের হুমকি দেয় ছাত্রলীগের ছেলেরা। আমাদের কি এতোটাই অধঃপতন হয়ে গেছে যে, আজ আমরা ন্যায় অন্যায় কিছুই বুঝতেছিনা? ছাত্রলীগ মানেই ছাত্র, ছাত্রলীগ মানেই দেশের বড় বড় শিক্ষা প্রতিষ্টানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত ছেলে মেয়ে! তারা কি এটাই বুঝেনা অধিকার কি জিনিস! তারা কি এটাই বুঝতে চেষ্টা করেনা নাকি তারা তাদের সিনিয়র নেতাদের ভয় সঠিক কথা বলতে পারেনা?

যে দেশে ৫৬ভাগই কোটা সেই দেশ আবার বিশ্ব দরবারে উন্নয়নশীল দেশ হয় কিভাবে?

যারা মাথার ঘাম পায়ে ফেলে। দিনকে রাত, রাতকে দিন করে, এতো কষ্ট করে পড়ালেখা করে একটা চাকরির জন্য চিৎকার করছে তাদের কান্না কি সরকারের কোনো মন্ত্রী দেখেনা? নাকি তারা ন্যায় অন্যায়ের বুঝটাই ভুলে গেছে!

৪৪ভাগ দিয়ে কি হবে? এইভাগ দিয়ে কি করিব আমরা? আমাদেরই দিতে পারছেন না আবার আমাদের প্রজন্মকে কি দিবেন?

এমপি, মন্ত্রী বা ছাত্রলীগের কর্মী হতে কতটুকু শিক্ষিত হতে হয় জানা নাই, তবে ন্যায়ের পক্ষে নিজের বিবেক খাটিয়ে একটা সঠিক একটা যৌক্তিকের পক্ষে কথা বলতে তো শিক্ষিত হতে হয়না। দরকার হয়, শুধু মানবিকতার, শুধুই মানবিকতার।

আজ যারা কোটা সংস্কারের জন্য আন্দোলন করছে তারাতো কেউ নিজের বাপ দাদাদের চাকরি পাওয়ার কথা বলছেনা। তারা সারা বাংলার ছেলে মেয়েদের কথাই বলছে। এখানে, আওয়ামীলীগ, বিএনপি, জামায়াত, শিবির, ইসলামী আন্দোলনের ছেলে মেয়েরা আছে। এই আন্দোলনতো তাদেরও। এই আন্দোলন একটা অন্যায়ের বিরুদ্ধে।

আমি বুঝতেছিনা, ওবায়দুল কাদের বলছে ১মাসের মাঝেই এর সমাধান হবে। একটা যৌক্তিক পর্যায়ে আসবে কোটা। অন্যদিকে প্রধান মন্ত্রী নিজেও সংসদে বলছেন কোটা তুলে দেবার কথা। কিন্তু অন্যদিকে কোটা সংস্কারের কিছুই হয়নি ১মাসে। তবে হবে বলেই যাচ্ছেন কিন্তু কবে তা জানতে চাইলে কিছুই সাড়া নেই। আবার ছাত্রলীগের ছেলেরা হুমকি দেয় মেরে ফেলার! তবে কি ভেবে নিবো আমরা সাধারণ ছেলেমেয়েরা?

ছাত্রলীগ মানেই সরকার, সরকার মানেই ছাত্রলীগ জানি তবে সরকার বলছে কোটা যৌক্তিক দিকে নিয়ে আসবে তবে ছাত্রলীগের ছেলেরা হুমকি দিচ্ছে কাদের উস্কানিতে?

যেখানে কোটাধারীদের মধ্যে - নারী, মুক্তিযোদ্ধা, জেলা, উপজাতি, প্রতিবন্ধ এরা সবাই চায়। কোটাটা একটা যৌক্তিক পর্যায়ে আসুক। কিন্তু সরকার বা সরকারের প্রতিনিধিরা কেন জোড় করে তাদের এতো সম্মান দিতে চান? সম্মান দিতে চাইলে মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানি ভাতা মাসে ৫০হাজার করে দেন তাতে আমাদের আপত্তি নাই। তবে তাদের দোহাই তাদের দিয়ে ছেলে মেয়েদের চাকরিতে তথা দেশের সব জায়গায় এতো সুযোগ দেয়া হয় কেন? আমরা শুধুই সম্মান করবো মুক্তিযোদ্ধাদের তবে তাদের বংশের সবাইকে মুক্তিযোদ্ধা বলে নিতে পারিনা।

আল্লাহ তুমি ন্যায়ের পক্ষে ছিলে এবারও থাকবে।

No comments

Thanks for your comments. I will reply you as soon as.