ইসলাম বিদ্বেষী নাস্তিকরা নিজেদের মুখোশ নিজেরাই উন্মোচন করছে…
ভালবাসা দিবসে পুলিশ পাহারায় বিশেষ একটি ইভেন্ট (প্রেমিক-প্রেমিকাদের
প্রকাশ্যে চুম্বন কর্মসূচী) আয়োজনের উদ্যোগ নিয়েছিলেন শাহবাগের গণজাগরণ
ম্যুভমেন্টের সক্রিয় কর্মী শাম্মি হক এবং অনন্য আজাদ। তারা উভয়ই স্বঘোষিত
নাস্তিক এবং বর্তমানে দু’জনই জার্মানীতে নির্বাসিত। অনন্য আজাদের আরেকটা পরিচয়,
তিনি কুখ্যাত ধর্মবিদ্বেষী নাস্তিক হুমায়ুন আজাদের গুনধর ছেলে। অতএব, তার কাছ থেকে
আমরা এরচেয়ে বেশি আর কীইবা আশা করতে পারি? ইভেন্টের ভেন্যু নির্ধারন করা হয়েছে বাংলাদেশী
নাস্তিকদের পুণ্যভূমি বা কেবলা খ্যাত শাহবাগ। এইসব ইভেন্টের জন্য এটা যে পারফেক্ট
ভেন্যু তাতে কোন সন্দেহ নেই!
যাইহোক, আসল কথায় আসি, আমরা যখন বলেছিলাম- শাহবাগীদের আসল উদ্দেশ্য
যুদ্ধাপরাধীর বিচার নয়, বরং নাস্তিকতা, ইসলাম বিদ্বেষ ও অপসংস্কৃতির প্রসার ঘটানো
তাদের মূল লক্ষ্য- তখন অনেকেই আমাদের কথা মানতে চাননি। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের
অজুহাতে শাহবাগে সংগঠিত হওয়া নাস্তিকরা যে আসলে একটি নির্দিষ্ট আদর্শ
বাস্তবায়নের জন্য লড়ছে এই সত্যটা অনেকেই উপলব্ধি করতে পারেননি। এখন এই নাস্তিকরা
নিজেরাই তাদের আসল পরিচয় পর্যায়ক্রমে তুলে ধরছে। এবার অনেকেই আসল ব্যাপারটা
অনুধাবন করতে সক্ষম হবে বলে আশা করি। আসলে জামায়াত-শিবির কিংবা হেফাজত কখনোই
তাদের মূল টার্গেট নয়, শুরু থেকে তাদের একমাত্র টার্গেট ছিল ইসলাম। তারা যদি
কেবল জামায়াত-শিবির কিংবা হেফাজতের বিরোধীতা করত- তাহলে কোন আপত্তিই ছিল না,
সাধারন মুসলিমরা ব্যাপারটা নিয়ে মাথা ঘামাতো না। কিন্তু তাদের আসল উদ্দেশ্য ছিল
ইসলামের প্রতি মানুষের মনে একটা বিদ্বেষ ঢুকিয়ে দিয়ে একটা সেক্যুলার সমাজ গঠন করা।
আমাদের এই উপলব্ধিটা যে কতটা সত্য তা আবারো প্রমানিত হল।
তবে অবাক হতে হয় এটা ভেবে, এইসব ইভেন্ট আয়োজন করে যখন পাশ্চাত্যের
অপসংস্কৃতি বাঙালীর উপর চাপিয়ে দেয়ার প্রচেষ্টা চালানো হয়- তখন এদেশের সংস্কৃতির
হর্তাকর্তারা (যারা নিজেদেরকে বাঙালী সংস্কৃতির ধারক ও বাহক বলে দাবী করেন) টু
শব্দটিও করেন না। অথচ হিজাব-স্কার্ফ-দাড়ি-টুপি এগুলো পরতে দেখলে তারা সাধারন বাঙালীকে
তিরস্কার করেন এই বলে যে, “এগুলো বাঙালীর সংস্কৃতি নয়,
এগুলো আরবের সংস্কৃতি“। ধর্মীয় পোশাক পরিচ্ছদ গ্রহণ করলে সেটা হয়ে যায়
বাঙালী সংস্কৃতির অন্তরায়, কিন্তু পাশ্চাত্যের লেগিংস-জেগিংস-স্কার্ট-টপস-জিনস
এগুলো সাদরে গ্রহণ করা হয়, এর মধ্যে আমরা ডাবল স্ট্যান্ডার্ড ছাড়া আর কিছু দেখি
না। পাশ্চাত্যের সংস্কৃতি জোর করে চাপিয়ে দেয়া হলেও সেটা নিয়ে কারো আপত্তি নেই,
অথচ কোন মুসলিম যদি স্বেচ্ছায় স্বপ্রণোদিত হয়ে ধর্মীয় বেশভূষা গ্রহণ করে তবে
সেখানে তাদের নাক গলানো চাইই চাই! এটা যদি ডাবল স্ট্যান্ডার্ড না হয় তাহলে ডাবল
স্ট্যান্ডার্ড শব্দটা নিজেই একটা ডাবল স্ট্যান্ডার্ড হয়ে যায়!!
যাইহোক, শাহবাগীরা যখন এধরনের ইভেন্ট আয়োজন করে তখন আমি সেটা পজেটিভভাবেই
নেই। এতে করে সাধারন মানুষ তাদের আসল চেহারা দেখার সুযোগ পায়। এর দরকার আছে।
মানুষ জানুক- তাদের আসল উদ্দেশ্য কী। তাদের আসল উদ্দেশ্য যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নয়
কিংবা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়ন নয়, বরং তাদের আসল উদ্দেশ্য হল ইসলামী চেতনা
নির্মূল এবং সেই স্থানে পাশ্চাত্যের নোংরা অপসংস্কৃতি প্রতিস্থাপন। আর পশ্চিমাদের
এই এজেন্ডা বাস্তবায়নে জার্মানী হল তাদের মূল স্পন্সর। আজকে তারা প্রকাশ্যে চুমু
খাওয়ার আহবান জানিয়ে ইভেন্ট খুলেছে, নিশ্চিত থাকুন এতে সফল হলে পরবর্তীতে
প্রকাশ্যে সমকামীদের চুমু খাওয়ার আহবান সম্বলিত ইভেন্ট খুলবে, তারপর প্রকাশ্যে
যৌনতা কিংবা আরো অনেক কিছুই হবে যা কেউ কখনো ভাবেনি আগে।
একটু খেয়াল করলে দেখবেন, ইসলাম যেসব কাজ নিরুৎসাহিত করে বেছে বেছে তারা
কেবল সেগুলোই বাস্তবায়ন করতে চায়, যেমন- সমকামীতা, প্রকাশ্য যৌনতা, নগ্নতা,
ইনচেষ্ট রিলেশন, গ্রুপ-সেক্স ও লিভ টুগেদার ইত্যাদি। আর ইসলাম যেসব কাজ করতে
উৎসাহিত করে তারা কেবল সেগুলোরই বিরোধীতা করে। যেমন- হিজাব, শালীন পোশাক,
দাড়ি-টুপি, কুরবানী ইত্যাদি। ইসলাম ধর্মে টিপ কিংবা সিদূর পরার কোন নিয়ম নেই, যদি
থাকতো তাহলে তারা সেগুলোরও বিরোধীতা করত। কিন্তু যেহেতু এগুলো সনাতন ধর্মের রীতি-
তাই এগুলো নিয়ে প্রগতিশীলদের কোন মাথাব্যথা নেই। বেছে বেছে তারা কেবল
সেগুলোরই বিরোধীতা করবে সেগুলো ইসলামে অনুমোদিত এবং পক্ষান্তরে সেইসব জিনিসকে
প্রমোট করবে যা ইসলামে কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। নানা কারনে ইসলামের প্রতি ক্ষোভ থেকেই
তারা এমনটা করে। এছাড়া পাশ্চাত্যের সুদৃষ্টি পাওয়াটাও অন্যতম লক্ষ্য।
==================================================================================================================================================
---------------------------------------------------------------------------------------------
---------------------------------------------------------------------------------------------
No comments
Thanks for your comments. I will reply you as soon as.