ইসলামের পরিচয়
ইসলাম
একটি পরিপূর্ণ জীবনব্যবস্থা। ইসলাম সমগ্র বিশ্বলোকের সৃষ্টিকর্তা মহান
আল্লাহতাআলার পক্ষ থেকে গোটা মানবজাতির জন্য পাঠানা হেদায়াত (পথনির্দেশ)। মানুষ
তার সারা জীবনে যা কিছু করে তার সবকিছুই ইসলামের আদেশ-নিষেধের আওতাভুক্ত। আমাদের
সৃষ্টির উদ্দেশ্য, আমাদের শেষ গন্তব্যস্থল ও অন্যান্য
প্রাণী-প্রজাতির মধ্যে আমাদের অবস্থান বা মর্যাদা
সম্বন্ধে ইসলাম আমাদেরকে অবগত করে এবং সামাজিক, রাজনৈতিক,
অর্থনৈতিক, নৈতিক ও আধ্যাতিক
তৎপরতাসহ আমাদের সকল ব্যক্তিগত ও সামষ্টিক কর্মতাৎপরতা পরিচালনার
সর্বোত্তম পথপ্রদর্শন করে।
‘ইসলাম’ আরবি শব্দ।এর আভিধানিক অর্থ অনুগত হওয়া, আনুগত্য করা,আত্মসমর্পণ করা, শান্তির পথে চলা, মুসলমান হওয়া। আত্মসমর্পণ মানে আল্লাহতাআলার আদেশ-নিষেধকে মেনে নেয়া। আর আনুগত্য মানে আল্লাহতাআলার আদেশ নিষেধ অনুযায়ী কাজ করা। আল্লাহতাআলার আদেশ নিষেধ মেনে চললে জীবনে শান্তি আসে। আর ‘ইসলাম’ শব্দের অর্থ ‘শান্তি’। যে ব্যক্তি ইসলামী জীবনব্যবস্থা গ্রহণ করে ও তার ভিত্তিতে আমল করে সে-ই মুসলমান।
আল্লাহর কিতাব আল কুরআন ও রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর হাদিসের মাধ্যমে ইসলামের বিধি-বিধানগুলো মুসলমানের ওপর কার্যকর করা হয়েছে। মুসলমান মাত্রই আল্লাহ ও তাঁর রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) প্রদর্শিত নির্দেশগুলো অবশ্যই পালনীয়। ইসলামের এই বিধিমালা ও করণীয় বর্জনীয় নির্দেশমালাকে এক কথায় শরিআত বলা হয়। ইসলাম হলো শরিআতের বাহ্যিক আচার অনুষ্ঠানগুলোর নাম। হাদিস শরিফে ইসলামের একটি সুন্দর সংজ্ঞা তুলে ধরা হয়েছে এভাবে, ‘ইসলাম হলো আল্লাহ ব্যতীত কোনো ইলাহ নেই এবং মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলে সাক্ষ্য দেয়া, সালাত কায়েম করা, জাকাত প্রদান করা, রমজানে রোজা পালন করা এবং যাতায়াতের সামর্থ্য থাকলে বায়তুল্লাহ শরিফে হজ আদায় করা। (বুখারী ও মুসলিম)
১. إِنَّ ٱلدِّينَ عِندَ ٱللَّهِ ٱلْإِسْلَٰم নিশ্চয় আল্লাহর নিকট গ্রহণযোগ্য একমাত্র জীবনব্যস্থা হচ্ছে ইসলাম। (সূরা আলে ইমরান, আয়াতঃ ১৯)
২. هُوَ سَمَّىٰكُمُ ٱلْمُسْلِمِينَ তিনি (আল্লাহ)ইতঃপূর্বে তোমাদেরকে মুসলিম নামকরণ করেছেন। (সূরা হজ, আয়াতঃ ৭৮)
فَأَقِمْ وَجْهَكَ لِلدِّينِ حَنِيفًا ۚ فِطْرَتَ ٱللَّهِ ٱلَّتِى فَطَرَ ٱلنَّاسَ عَلَيْهَا ۚ لَا تَبْدِيلَ لِخَلْقِ ٱللَّهِ ۚ ذَٰلِكَ ٱلدِّينُ ٱلْقَيِّمُ وَلَٰكِنَّ أَكْثَرَ ٱلنَّاسِ لَا يَعْلَمُونَ
৪. অতএব তুমি একনিষ্ঠ হয়ে দ্বীনের জন্য নিজকে প্রতিষ্ঠিত রাখ। আল্লাহর প্রকৃতি, যে প্রকৃতির উপর তিনি মানুষ সৃষ্টি করেছেন। আল্লাহর সৃষ্টির কোন পরিবর্তন নেই। এটাই প্রতিষ্ঠিত দ্বীন, কিন্তু অধিকাংশ মানুষ জানে না। (সূরা রুম, আয়াতঃ ৩০)
বস্তুত ইসলামই সকল নবী-রাসূলের অভিন্ন ধর্ম। হজরত আদম (আলাহিস সালাম) থেকে শুরু করে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) পর্যন্ত আগমনকারী সকল নব-রাসূলই মানুষকে ইসলামের দিকে আহবান করেছেন। হজরত ইবরাহিম (আলাইহিস সালাম) তাই আল্লাহতাআলার কাছে বলেছিলেনঃ
رَبَّنَا وَٱجْعَلْنَا مُسْلِمَيْنِ لَكَ وَمِن ذُرِّيَّتِنَآ أُمَّةً مُّسْلِمَةً لَّكَ وَأَرِنَا مَنَاسِكَنَا وَتُبْ عَلَيْنَآ ۖ إِنَّكَ أَنتَ ٱلتَّوَّابُ ٱلرَّحِيمُ
৫.‘হে আমাদের রব, আমাদেরকে আপনার অনুগত করুন এবং আমাদের বংশধরের মধ্য থেকে আপনার অনুগত জাতি বানান। আর আমাদেরকে আমাদের ইবাদাতের বিধি-বিধান দেখিয়ে দিন এবং আমাদেরকে ক্ষমা করুন। নিশ্চয় আপনি ক্ষমাশীল পরম দয়ালু’। (সূরা বাকারা, আয়াতঃ ১২৮)
৬. ٱلْيَوْمَ أَكْمَلْتُ لَكُمْ دِينَكُمْ وَأَتْمَمْتُ عَلَيْكُمْ نِعْمَتِى وَرَضِيتُ لَكُمُ ٱلْإِسْلَٰمَ دِينًا ۚ فَمَنِ ٱضْطُرَّ فِى مَخْمَصَةٍ غَيْرَ مُتَجَانِفٍ لِّإِثْمٍ ۙ فَإِنَّ ٱللَّهَ غَفُورٌ رَّحِيمٌ
আজ আমি তোমাদের জন্য তোমাদের দ্বীনকে পূর্ণ করলাম এবং তোমাদের উপর আমার নি’আমত সম্পূর্ণ করলাম এবং তোমাদের জন্য দ্বীন হিসেবে পছন্দ করলাম ইসলামকে। তবে যে তীব্র ক্ষুধায় বাধ্য হবে, কোন পাপের প্রতি ঝুঁকে নয় (তাকে ক্ষমা করা হবে), নিশ্চয় আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। (সূরা বাকারা,আয়াতঃ৩)
‘ইসলাম’ আরবি শব্দ।এর আভিধানিক অর্থ অনুগত হওয়া, আনুগত্য করা,আত্মসমর্পণ করা, শান্তির পথে চলা, মুসলমান হওয়া। আত্মসমর্পণ মানে আল্লাহতাআলার আদেশ-নিষেধকে মেনে নেয়া। আর আনুগত্য মানে আল্লাহতাআলার আদেশ নিষেধ অনুযায়ী কাজ করা। আল্লাহতাআলার আদেশ নিষেধ মেনে চললে জীবনে শান্তি আসে। আর ‘ইসলাম’ শব্দের অর্থ ‘শান্তি’। যে ব্যক্তি ইসলামী জীবনব্যবস্থা গ্রহণ করে ও তার ভিত্তিতে আমল করে সে-ই মুসলমান।
আল্লাহর কিতাব আল কুরআন ও রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর হাদিসের মাধ্যমে ইসলামের বিধি-বিধানগুলো মুসলমানের ওপর কার্যকর করা হয়েছে। মুসলমান মাত্রই আল্লাহ ও তাঁর রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) প্রদর্শিত নির্দেশগুলো অবশ্যই পালনীয়। ইসলামের এই বিধিমালা ও করণীয় বর্জনীয় নির্দেশমালাকে এক কথায় শরিআত বলা হয়। ইসলাম হলো শরিআতের বাহ্যিক আচার অনুষ্ঠানগুলোর নাম। হাদিস শরিফে ইসলামের একটি সুন্দর সংজ্ঞা তুলে ধরা হয়েছে এভাবে, ‘ইসলাম হলো আল্লাহ ব্যতীত কোনো ইলাহ নেই এবং মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলে সাক্ষ্য দেয়া, সালাত কায়েম করা, জাকাত প্রদান করা, রমজানে রোজা পালন করা এবং যাতায়াতের সামর্থ্য থাকলে বায়তুল্লাহ শরিফে হজ আদায় করা। (বুখারী ও মুসলিম)
১. إِنَّ ٱلدِّينَ عِندَ ٱللَّهِ ٱلْإِسْلَٰم নিশ্চয় আল্লাহর নিকট গ্রহণযোগ্য একমাত্র জীবনব্যস্থা হচ্ছে ইসলাম। (সূরা আলে ইমরান, আয়াতঃ ১৯)
২. هُوَ سَمَّىٰكُمُ ٱلْمُسْلِمِينَ তিনি (আল্লাহ)ইতঃপূর্বে তোমাদেরকে মুসলিম নামকরণ করেছেন। (সূরা হজ, আয়াতঃ ৭৮)
فَأَقِمْ وَجْهَكَ لِلدِّينِ حَنِيفًا ۚ فِطْرَتَ ٱللَّهِ ٱلَّتِى فَطَرَ ٱلنَّاسَ عَلَيْهَا ۚ لَا تَبْدِيلَ لِخَلْقِ ٱللَّهِ ۚ ذَٰلِكَ ٱلدِّينُ ٱلْقَيِّمُ وَلَٰكِنَّ أَكْثَرَ ٱلنَّاسِ لَا يَعْلَمُونَ
৪. অতএব তুমি একনিষ্ঠ হয়ে দ্বীনের জন্য নিজকে প্রতিষ্ঠিত রাখ। আল্লাহর প্রকৃতি, যে প্রকৃতির উপর তিনি মানুষ সৃষ্টি করেছেন। আল্লাহর সৃষ্টির কোন পরিবর্তন নেই। এটাই প্রতিষ্ঠিত দ্বীন, কিন্তু অধিকাংশ মানুষ জানে না। (সূরা রুম, আয়াতঃ ৩০)
বস্তুত ইসলামই সকল নবী-রাসূলের অভিন্ন ধর্ম। হজরত আদম (আলাহিস সালাম) থেকে শুরু করে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) পর্যন্ত আগমনকারী সকল নব-রাসূলই মানুষকে ইসলামের দিকে আহবান করেছেন। হজরত ইবরাহিম (আলাইহিস সালাম) তাই আল্লাহতাআলার কাছে বলেছিলেনঃ
رَبَّنَا وَٱجْعَلْنَا مُسْلِمَيْنِ لَكَ وَمِن ذُرِّيَّتِنَآ أُمَّةً مُّسْلِمَةً لَّكَ وَأَرِنَا مَنَاسِكَنَا وَتُبْ عَلَيْنَآ ۖ إِنَّكَ أَنتَ ٱلتَّوَّابُ ٱلرَّحِيمُ
৫.‘হে আমাদের রব, আমাদেরকে আপনার অনুগত করুন এবং আমাদের বংশধরের মধ্য থেকে আপনার অনুগত জাতি বানান। আর আমাদেরকে আমাদের ইবাদাতের বিধি-বিধান দেখিয়ে দিন এবং আমাদেরকে ক্ষমা করুন। নিশ্চয় আপনি ক্ষমাশীল পরম দয়ালু’। (সূরা বাকারা, আয়াতঃ ১২৮)
৬. ٱلْيَوْمَ أَكْمَلْتُ لَكُمْ دِينَكُمْ وَأَتْمَمْتُ عَلَيْكُمْ نِعْمَتِى وَرَضِيتُ لَكُمُ ٱلْإِسْلَٰمَ دِينًا ۚ فَمَنِ ٱضْطُرَّ فِى مَخْمَصَةٍ غَيْرَ مُتَجَانِفٍ لِّإِثْمٍ ۙ فَإِنَّ ٱللَّهَ غَفُورٌ رَّحِيمٌ
আজ আমি তোমাদের জন্য তোমাদের দ্বীনকে পূর্ণ করলাম এবং তোমাদের উপর আমার নি’আমত সম্পূর্ণ করলাম এবং তোমাদের জন্য দ্বীন হিসেবে পছন্দ করলাম ইসলামকে। তবে যে তীব্র ক্ষুধায় বাধ্য হবে, কোন পাপের প্রতি ঝুঁকে নয় (তাকে ক্ষমা করা হবে), নিশ্চয় আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। (সূরা বাকারা,আয়াতঃ৩)
-------------------------------
-------------------------------
-------------------------------
No comments
Thanks for your comments. I will reply you as soon as.