নারীবাদীতা বলে আসলে কিছুই নেই।

নারীবাদীতা বলে আসলে কিছুই নেই। একটা মেয়ে যতই বড় বড় বুলি আউড়াক, যতই কারোও ধার না ধারুক,যতই আত্মনির্ভরশীল হোক প্রত্যেকটা মেয়েই অন্য কারো উপর নির্ভর করতে ভালোবাসে। আর এই অন্য কেউটা অবশ্যই একজন পুরুষ। প্রতিটা নারীবাদী নারীই মাথা রাখার জন্যে শক্ত একটা কাধ খোঁজে।
যতই আপনি অস্বীকার করুন,যতই বলুন না কেন যে আপনি কারো কেয়ার করেন না,আপনি কিন্তু নিজেই সবথেকে ভালো জানেন যে আপনার কাউকে দরকার। এমন একজন কে দরকার যে কপালে এসে পড়া অবাধ্য চুলগুলো ফু দিয়ে সরিয়ে দিবে,যে ঠিক করে দিবে বাসন্তী রঙের খয়েরী পাড় বাধানো শাড়ির সাথে খয়েরী নাকি নীল টিপ পরবেন।  আসলেই আমাদের পুরুষের উপর নির্ভরশীল হতে হয়। আর এটা হতেই হবে। কারন সৃষ্টিকর্তা আমাদের শরীর বা মনের গঠন ওভাবেই করেছেন।
নারীবাদীতার সঠিক সংজ্ঞা আমি জানিনা। আমি মনে করি নারীবাদীতা মানে পুরুষের মত আচরন নয়, নারীবাদীতা মানে টাইট জিন্স আর হাফ হাতা শার্ট নয়, নারীবাদীতা মানে উগ্রতা নয়।
নারীবাদীতা মানে স্নিগ্ধতা, কমনীয়তা। নারীবাদীতা মানে লাল পাড় শাড়ির সাথে মাথায় শুভ্র বেলী ফুলের মালা।
আপনি নারী...।
আপনি কেন আপনার মাহাত্ম্য প্রমান করার জন্যে একটা পুরুষের সাথে পাল্লা দেবেন? যেখানে সৃষ্টিকর্তা আপনাদের সম্মানিত করেছেন সবথেকে বেশী।
পুরুষের সমকক্ষ নয়, একজীবনে একটা পুরোদস্তুর নারী মানে শাড়ি চুড়ি, গয়না আর স্টার জলসা, স্টার প্লাস সিরিয়াল নয়। পুরোদস্তুর নারী মানে এমন একজন মা, যিনি তার সন্তানকে সঠিক নৈতিকতার শিক্ষাটা দিতে পারেন, এমন একজন মেয়ে যে তার বাবার ওষুধ খাওয়ার সঠিক সময় টা মনে রাখে, এমন একজন প্রেমিকা, যে তার প্রেমিকের একমাত্র আশ্রয়স্থল।  এমন একজন স্ত্রী, যাকে পেয়ে তার স্বামী গর্ব অনুভব করে।
সৃষ্টিকর্তা নিজেই যেখানে নারীকে পুরুষের চেয়ে বেশী সম্মানিত করেছেন, সেখানে সমকক্ষ হতে চাওয়া বোকামী নয় কী???================================================================================================================================================================================================================ (My Facebook Page = www.facebook.com/AbdullahIbneMasud5) (My blog site = www.AbdullahIbneMasud5.blogspot.com) (My Facebook group = www.facebook.com/groups/AbdullahIbneMasud5)