শিরোনাম

ধর্ম যার যার, রাষ্ট্র সবার

কথাটা শুনতে সুন্দর শোনা গেলেও এর ভেতরে একটা গোমর আছে।
ধর্ম যার যার, অর্থাৎ ধর্ম পারসোনাল ম্যাটার। মানে তুমি ধর্ম পালন করো সেটা ঘরের ভেতরে, যত খুশি সেখানে ধর্ম পালন করো, যতভাবে ইচ্ছা ততভাবে পালন করো। কিন্তু ধর্মের কোন কথা তুমি ঘরের বাইরে কিছুতেই আনতে পারবা না।
অপর শ্লোগানটি হচ্ছে- রাষ্ট্র সবার।
মানে রাষ্ট্র হবে সেক্যুলার। সেখানে ধর্মের কোন স্থান নাই, সেটা হবে নাস্তিকতা, অথবা সম্রাজ্যবাদীরা সেক্যুলারিজমের নামে তাদের কোন কৃষ্টি কালচারও যদি আমাদের উপর চাপিয়ে দেয়, তবে সেটাই মেনে নিতে হবে।
‘ধর্ম যার যার’ বলে ইসলাম ধর্মকে সমাজ থেকে দূরে সরিয়ে দেয়া হচ্ছে।
অপরদিকে ‘রাষ্ট্র সবার’ বলে তাদের বানানো একটা সিস্টেমকে সামাজিককরণ করা হচ্ছে।
মেনে নিলাম। তাদের শ্লোগান।
আচ্ছা, বাংলাদেশের এখন মূল মূল সমস্যা কি ?
দুর্নীতি, সুদ, ঘুষ, ধর্ষন, দারিদ্রতা, বেকারত্ব, মাদক, সন্ত্রাস।
আচ্ছা, তারা যে সিস্টেম দাড় করিয়েছে, সেটা কি এসব সমস্যার সমাধান করতে পারছে ?
গত ৪৭ বছর তো তারা এই শ্লোগান দিয়েছে, এরপরও কি এ সমস্যাগুলো দূর করতে পেরেছে?
হয়ত কিছু আইন করেছেন, কিন্তু এ সব কথিত আইন কি এসব সামাজিক সমস্যার দমন বা হ্রাস করতে পেরেছে ?
পারেনি। এবং কখনও পারবেও না। কারণ তাদের বানানো কথিত সেক্যুলার সিস্টেম আর যাই পারুক, সবকিছুর সমাধান দিতে পারে না।
যারা ধর্ম যার যার, রাষ্ট্র সবার বলে শ্লোগান দেয়-
আমি তাদের বলবো-
৪৭ বছর তো এই শ্লোগান দিলেন- ধর্মকে ঘরের ভেতর ভরে, আপনাদের কথিত সিস্টেম নিয়ে নাড়াচাড়া করলেন। কিন্তু সমাধান তো দিতে পারলেন না। এবার না হয় সামান্য সময়ের জন্য পরীক্ষামূলকভাবে ‘ধর্মকে ঘর থেকে বের করে সামাজিক করুন। ধর্ম দিয়ে এসব সমস্যার সমাধানের চেষ্টা করুন। দেখুন সমস্যার সমাধান হয় কি না ?
দেখুন-
ধর্ম দিয়ে ঘুষ-দুর্নীতি দমন হয় কি না ? (দুদকের গেটে একবার দেখেছিলাম ধর্মীয় আয়াত লেখা)
ধর্ম দিয়ে ধর্ষন দূর হয় কি না ? (ধর্ষকের শাস্তি মৃত্যুদণ্ড ধর্মে আগে থেকেই ছিলো)
ধর্ম দিয়ে বেকারত্ব দূর হয় কি না ?
ধর্ম দিয়ে দারিদ্রতা দূর হয় কি না ?
ধর্ম দিয়ে সন্ত্রাস দূর হয় কি না ?
ধর্ম দিয়ে মাদক সমস্যা দূর হয় কি না ?
আমি নিশ্চিত, ওরা ৪৭ বছর চেষ্টা করে যে সমাধান পায়নি তা সামান্য সময় চেষ্টা করলেই ধর্ম দিয়ে দেখিয়ে দেয়া সম্ভব। সুতরাং ইসলাম ধর্মকে ঘরের গোপন প্রকষ্ঠ থেকে সমাজে টেনে আনুন, দেখবেন, এক নিমিষেই সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।
(বি:দ্র: আমেরিকা মানুষের মধ্যে ইসলামফোবিয়া তৈরী করতে নিজেরাই বিভিন্ন ফেইক ধর্মভিত্তিক রাষ্ট্র তৈরী করেছে এবং তার মাধ্যম দিয়ে সমাজে ইসলাম ধর্মের প্রয়োগের ভীতি তৈরী করেছে, যা সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যপ্রণদিত ও মিথ্যা। সুতরাং মার্কিন যোগসূত্রে তৈরী হওয়া সে সব ধর্মভিত্তিক রাষ্ট্রের দলিল এক্ষেত্রে গ্রহণযোগ্য হবে না।)

No comments

Thanks for your comments. I will reply you as soon as.