সমকামী মানুষদের জন্য.
লাগবে কিন্তু, ব্যথা হবে, আমার কথা শোন ডার্লো, এসব করিসনা প্লিজ। একবারে না ছিঁড়লে, ফিনকি দিয়ে রক্ত বেরোবে। ছটফট করবি তখন। খুব যন্ত্রনা হবে, খুব...
------ গোটা শরীরটাই আঘাতের ঘরবাড়ি। ঝুপ করে সূর্য নিভলে পুকুরগুলো কেমন কালো হয়ে আসে দেখেছিস! তোর হাত পা বেঁধে ফেলে রাখা হবে আঁশটে পুকুরের ঘোলা জলে, সাঁতার কাটতে পারবিনা তোর ইচ্ছেমতো, গলায় বাঁধা জ্বলন্ত টায়ার, মুখ থেকে গলগল করে ধোঁয়া বেরোবে।
ইচ্ছেমতো তোর পেটে লাথি, ঘুষি মারা হবে, রাতের সরাইখানায় তোকে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যাবে। তোর পায়ুপথে ফাঁসিয়ে দেওয়া হবে লাল দগদগে গরম শিক। কিছু মাছ সস্তার টোপ করে তোকে দিয়ে বন্ড পেপারে সাইন করিয়ে নেবে। তারপর তোর ওপরেই দুহাত পা ছড়িয়ে বসে, চেয়ার টেবিল চাপড়ে মিটিং মিছিল অনশনের ঢেঁকুর তুলবে তিনবেলা। আর কিছু মাছ তোর টাকরায় নিরীহ বঁড়শির সুতো গেঁথে জল থেকে তুলে আনবে তোকে। ছাল ছাড়িয়ে নরম মাংসে নুন হলুদ মাখিয়ে কড়াইয়ে ঝাঁঝালো তেলে এপিঠ ওপিঠ ভেজে নেবে। খেয়ে ফেলবে তোকে ওরা, ভাতের সাথে লেবু চটকে।
ছাড় এসব, ভাল্লাগেনা। দুজনেই চল নিভন্ত চুল্লির ভেতর হুড়মুড় করে ঢুকে পড়ি। যন্ত্রনার হাড়ে মশাল জ্বালিয়ে দিই। ছড়িয়ে পড়ুক আমাদের চিতাভস্ম বাতাসে বাতাসে। কেউ যেন শ্বাস না নিতে পারে, দমবন্ধ হয়ে আসে সবার, শালা পুড়িয়ে দেবো এই শহরের প্রতিটা ঘরবাড়ি...
------ একটু শান্ত হয়ে বস। পাগলামো করিসনা। রিল্যাক্সড হ। যারা আমাদের দেখে খিল্লি করে, তাদের শুকনো পাতাঝরার দল ভেবে আমরা ভুলতে পারিনা? হাততালি দেবার হাতে আমরা ব্ল্যাকটেপ সেঁটে দিতে পারিনা? মাথায় ফেট্টি বেঁধে উল্টোদিকের রাস্তা দিয়ে, কুয়াশার ভেতরে জাপটে ধরে হেঁটে যেতে পারিনা?
পাঁচমাথার মোড়ে, অফিসফেরত শিরদাঁড়াদের আড্ডার ঠেক দেখেছিস কখনও? ওরা ভেতর ভেতর প্রতিদিন একটু একটু করে ভেঙে গুঁড়ো করে নিজেদের। তারপর বরফের চাদর জড়িয়ে, গুটিসুটি মেরে চায়ের কাপে টকঝালনোনতা বিস্কুট হয়ে গুলে যায়।
ব্যস্ত কফিশপের সামনে যে লোকটা শালপাতায় মুড়ে ফুচকা বিক্রি করে রোজ, সেও কিন্তু বাড়ন্ত রাতে নুনটক জলে নিজেকে তেঁতুল করে ঘেঁটে ফেলে।
সদ্যবিয়ানো বাচ্চার শোকে কখনও কোনও মাকে পাগল হতে দেখেছিস?
এখানে কেউ কিন্তু কারোর নয়। সবাই যে যার নিজের দুঃখ যাপন করছে কেবল।
ওদের চেয়ে আমরা অনেক ভালো আছি। বিলিভ মি! গুমোটদিনে রাক্ষুসে মেঘ আমরা হাতে হাত রেখে ফুঁ দিয়ে নেভাতে পারিনা বলছিস?
------ না, না কিচ্ছু পারিনা আমরা। সমাজের ধসে পড়া মেরুদন্ডে পোকা লেগেছে বুঝলি! নিজেদের শাসন কায়েমের জন্য খুবলে খুবলে খেয়ে নিচ্ছে মানুষ হবার ছাড়পত্র। আইনের ঢ্যামনা গ্যারেজে ঘুষখোর উকিল ছেলেভোলানো নামতা শেখায় রোজ। সাড়ে তিনটাকায় মন্ত্রীনেতাপুলি শটিচার নিজের আত্মা বিক্রি করে এখন। মানুষকুপোনো খুরপিগুলো হেঁটে বেড়ায় চলতি ট্রাম, বাজারে।
------ বি পজেটিভ ইয়ার। মানুষ চাইলে সব করতে পারে। বাজে কথা না বলে, ফায়ারিং স্কোয়াডে দাঁড়ানো পাঁজরভাঙা উর্দির কথা ভাব একবার, মুখখোলা বন্দুকের সামনে দাঁড়িয়ে স্নায়ুহীন দেশ বাঁচাচ্ছে, অথচ গতরাতেই খবর পেয়েছে তার চার বছরের মেয়ে ফ্রক পরে আকাশের দিকে দাউদাউ করে উঠে গেছে একটেলিফোন গোঙানি নিয়ে। শুধু একবার দেখতে চেয়েছিল সে, শুধু একবার, পারেনি...
জীবন, এক যাত্রীবাহী বাস, আমরা তো স্রেফ বাসের গায়ে শক্ত করে এঁটে থাকা ময়লা সিট। চাকার ফাঁদে দুব্যের মতো গজিয়ে ওঠে ভাঙা গড়ার গল্প প্রতিদিন...
সাক্ষী থাকে ক্লান্তির রুমালে ঘাম মুছে ফেলা প্রতিটা ডাকটিকিট।
------ মানুষ চাইলে সব পারে? সত্যি বলছিস?
আচ্ছা ভেঙে গুঁড়ো হয়ে যাওয়া মানুষ কারোর আয়না হতে পারে?
যারা পাথরকাটা ঠোঁটে মুখ ঘষে রোজ, তারা কখনও মুখোশ পরতে পারে?
বলনা, মাংস কেটে ঝুলিয়ে রাখা বুকপকেট ভালোবাসার রেওয়াজ করতে পারে?
পিঠের দেয়ালে ধর্ষকের প্ল্যাকার্ড সাঁটা মধ্যবিত্ত লোক নিজের মেয়েকে বিছানায় ফেলার আগে পারমিশন নেয় কখনও?
রিকশা করে ফিরতি পথে বৃষ্টিকুচি গিলে খাওয়া বান্ধবীরোদ ভরসাকাঁধে মাথা রাখতে পারে?
বিস্ফোরণের ব্যালকনিতে কোরানগীতা পাশাপাশি থাকতে পারে?
নারে মদ, সিগ্রেটে ডুবে যাওয়া মনের ক্ষত বোরোলিনে সারেনা কখনও, বিশ্বাস কর। মানুষ চাইলে সব কিছু পারেনা...
------ ড্যামিড, শুধু ভালোবাসাটুকু এনাফ্ নয় চাক্কুছুরির শহর ছেঁড়ে সাতকোটি দূরে নিজেদের খড়কুটোর ছাদ বানানোর জন্য!
তোর আদর খেতে চাই। তোর আমার ভেতর যৌনতা আসবেনা হয়তো স্বাভাবিক নিয়মে, তবে জলঝুপ্পুস সন্ধেবেলায় তোর কপালগড়ানো ঘামের চিনি জিভের ডগায় শুষে নেবো প্রমিশ। তোর ছায়ায় কুচোবিকেল হয়ে জিরোবো।
তোর আদর খেতে চাই। তোর আমার ভেতর যৌনতা আসবেনা হয়তো স্বাভাবিক নিয়মে, তবে জলঝুপ্পুস সন্ধেবেলায় তোর কপালগড়ানো ঘামের চিনি জিভের ডগায় শুষে নেবো প্রমিশ। তোর ছায়ায় কুচোবিকেল হয়ে জিরোবো।
হুম জানি, আমাদের হাঁটা, চলা, কথা বলার ধরন, ব্রায়ের সাইজ, পোশাক পাল্টানোর ধরন সমস্তটা এক। তোর ভেতরেও চেরা রাস্তা, আমার ভেতরেও, যেখান থেকে প্রতিমাসে নিয়মমাফিক মাসিকের সাথে বিচ্ছিরি অপমান, খিস্তি সবটা ঝরে পড়ে।
দুজনেরই নরম, ফুলো, ফুলো স্তন কিন্তু তার চার ইঞ্চি গভীরে কখনও আঙুল চালিয়ে দেখেছিস, ঠিক কতখানি মাটি লেগে কতখানি জল! শোন ওসব চাঁদ টাঁদ নিয়ে কাব্য লিখতে পারবনা। তবে এটুকু বলি স্নানের ঘরে বাষ্পে না ভেসে তোকে স্নান ভেবে মেখে নেবো গায়ে।
তোর শরীরের প্রতিটা সূক্ষ্ম উঁচুনীচু খাদে শামা জ্বালিয়ে মুছে দেবো অন্ধকার। একসাথে ভালো থাকার নো অবজেকশন পেপারে এবার সাইন করা যায়তো? বল...
---- হুম যায়, খুব যায়...
----- পাগলী একটা। ব্লেডটা ছুঁড়ে ফেল। তুই আমার কাছে অনেকটা লক্ষ্মীমন্ত ঘুমের ওষুধের মতো। চুমুর খিদে বাড়লে "তুই" নামের নেশার স্ট্রিপে আদ্যোপান্ত ডুবে যাওয়াটুকু ব্যস। শেষ ট্রেন আসছে, যা টিকিটটা কেটে নিয়ে আয়। কোনও একটা প্ল্যাটফর্মে আমরা একসাথেই নিঁখোজ হবো, যেখানে আমাদের কেউ চিনবেনা, আমাদের সম্পর্ক নিয়ে কেউ পোস্টমর্টেম করতে করতে ক্লাবের ক্যারামে ঘুঁটি সাজাবেনা।
শোন, আমি খিঁচুড়িটা ভালোই রাঁধতে পারি, প্রতিদিনের সব্জিটা শুধু তুই কেটে দিবি
😊

No comments
Thanks for your comments. I will reply you as soon as.