শিরোনাম

প্রতি মাসে পিরিয়ড

প্রতি মাসে পিরিয়ড হবার ওই কটা দিন নিজের শরীরটাকে ঘেন্না করে ভীষণ। মনে হয় বীর্যের কাদামাটি মেখে কলঘরে স্নান করতে যাওয়া, কোনও এক যুবতী আমার ওপর ভর করেছে। গা থেকে কিছুতেই তাকে ঝেড়ে ফেলতে পারিনা। আমার অস্বস্তি হয়, জোরে জোরে কান্না পায়।
বাবার জিভে ঝি ঝি পোকার ডাক, তবুও বোঝায় সাধ্যমতো "You are fortunate enough, that you can realise the unbearable pain, what a woman goes through every month"
মায়ের চোখভর্তি পেঁয়াজের জল, মা প্রশ্ন করেনা কোনও, উত্তরটা জানা বলেই হয়তো... মাথা নীচু করে সব্জী কাটে স্রেফ, তরকারিতে নুনের পরিমাণ বাড়ে, কমে মাঝেসাঝে।
নিজেকে গুটিয়ে রাখি সবার থেকে, কারোর সাথে কথা বলিনা, ল্যাংটো হয়ে স্নান করিনা।কোথাও যাইনা, গভীর কনফারেন্স, অর্থনীতির ডালপালা ছড়ানো মিটিং সব ক্যানসেলড...
মেয়েলিসুতো জড়ানো বুক, যোনি, পেট, নাভি, পাছা দেখলেই গা গুলোয়, উইন্ডস্ক্রিনে রোদ এসে পড়লেই সিগ্রেট নেভানো ঠোঁট ঝলসে ওঠে, দাঁতের ফাঁক শিরশির করে, জোরে হাত মেরে ফাটিয়ে দিই বীর্য, স্রাবের তফাৎ বুঝিয়ে দেওয়া আয়না।
টেবিলের নীচে চুপটি হয়ে বসি, হড়হড় করে বমি করি নিজের থাইয়ে, সমস্ত যৌবন ভস্ম করে দিতে ইচ্ছে করে একঝটকায়। দগদগে গরম শিক ঠেসে ধরি গলায়...
টর্চ জ্বালিয়ে জলের তলায় শুয়ে থাকি মাসিকের কটা দিন, পাথর দিয়ে ঘষে ঘষে পরিস্কার করি রক্তমাখা যোনি, ছালচামড়া তুলে ফেলি, আমার সারা গা পুড়ে যায় হরমোনাল অ্যাসিডে। অপিরস্কার রক্তে ভরে আসে বাথরুম, বেশি নড়ানড়ি করিনা।
শালা যেসব মেয়েদের কাছে গেছি, স্বাদ পাইনি, ভাড়া মিটিয়ে শুধু গন্ধটুকু মেখে ফিরেছি ঘরে। আগুন লাগেনি কোথাও, শীত করেছিল খুব। লাগাতে পারিনি বলি ওরাও পাছায় আচ্ছাসে লাথি মেরে বার করে দিয়েছে।
মানুষ হবার শ্রীহীন লাইনে বহুবার দাঁড়িয়েছি, যেমন করে নারী পুরুষ পাড়ার মোড়ে থলে হাতে, রেশনদোকানে দাঁড়ায় দুমুঠো চালের আবদারে। লাভ হয়নি কিছুই, ওরা আমায় জ্বালানি কাঠের মতো ভাসিয়েছে সংখ্যালঘুর ঢেউয়ে...
বালের সমাজ ফরমান জারি করায়, হিড়হিড় করে টানতে টানতে আমায় ফেলা হয়েছিল বৈধ সম্পর্কের মখমলি খাটে।
স্পর্ধার আঙুলে ছাই ছুঁড়ে মেরে পার্ক, শহর, রাস্তা, ফুটপাথ, রাজ্যের মুখাগ্নি করে এসেছি...
একমাত্র আমার প্রেমিকা সব বোঝে, সব! ভাঙা পাঁজরের সুড়ঙ্গ বেয়ে উঠে আসা প্রতিটা শব্দ, ঘ্যানঘ্যানানি, ন্যাকামি, অসভ্যতামি, রাগ, ক্ষোভ সব...
ও ভালোবাসার গলা টিপে ধরেনা, থেঁতো করে চিবিয়ে খেয়ে ফেলেনা প্রেমের ছুঁতো।
ও আমায় আদর করে, ওর আমার ভেতর যৌনতা আসেনা কখনও।
হারামজাদা ঈশ্বরের ওপর হেব্বি রাগ হয় এইসব সময়গুলোতে, সামনে পেলে হাতুড়ি মেরে পিটিয়ে খুন করে ফেলতাম।
হা ঈশ্বর ওরা আমার জান খেয়ে নিচ্ছে আইনের পাতে বেড়ে, আমায় প্রাণ দাও প্রাণ... আমায় শক্ত, দৃঢ়, পয়মন্ত পুরুষাঙ্গ দাও, এক্ষুনি দাও...
তবে শোনো, যে পুরুষাঙ্গে ধর্ষকের প্ল্যাকার্ড সাঁটা থাকে, যে লিঙ্গ দেখলেই নারীরা শরীর ঢাকে বোরখার কাপড়ে, ঘুমের ভেতর আঁতকে ওঠে যে লিঙ্গের কথা মনে করে, মন্দির, মসজিদ, গির্জার সামনে ঝুলিয়ে রাখা হয় যে ইস্পাতকঠিন লিঙ্গ শাসন কায়েমের সস্তা হাতিয়ার হিসেবে...
যে লিঙ্গে "তা" দিয়ে মাংসহাড় চিবিয়ে খায় উন্মাদ পৌরষ, কানের ভেতর "শিলা কি জবানি চালিয়ে" জুয়ার ঠেকে মদের বোতল খোলে, যে দামাল লিঙ্গ পাহাড়টিলার মতো উঁচু সর্বদাই, সুযোগ পেলেই পাগলা ঘোড়ার মতো অন্ধকারের টানেল পেরিয়ে লম্বা, চেরা রাস্তায় টগবগিয়ে ঢোকে, সেক্সি সানি লিওনির জামা খুলতে দেখে মায়ের বুকে যৌনতা খোঁজে যে পুরুষাঙ্গ,
সে লিঙ্গ, সে পৌরষ আমার চাইনা কখনও...কখনোই না😊

No comments

Thanks for your comments. I will reply you as soon as.