আগে নৈতিক পরিবর্তন পরে দেশের পরিবর্তন
আগে নৈতিক পরিবর্তন পরে দেশের পরিবর্তন
আমি ৯০ভাগ নিশ্চিত বাংলাদেশ বর্ডারের তল দিয়ে বিরাট বড় একটা রাস্তা আছে সেই রাস্তা দিয়ে দেশে আসা সব - ইয়াবা, হিরোইন, মদ, ফ্যান্সি সব কিছুই সেই তলের মাটিকাটা রাস্তা দিয়ে আসে। কারন, বর্ডার গার্ডরা এতো কড়া নিরাপত্তা দিচ্ছে যা কল্পনারবাহিরে। তারা দিনে দুইবার ডিউটি করে বড় বড় ওজনওয়ালা পোশাক পরে। হাতে ইয়া বড় বড় পিস্তল মাথায় টুপি পায়ে অনেক ওজনের জুতা পরে বেচারারা দেশের শান্তি রক্ষার্থে নিরলস ভাবে দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছে যা আমরা দেখেও না দেখার ভান করি। তা নাহলে এতো কড়া নিরাপত্তার মাঝেও কিভাবে ইয়াবাসহ সকল চোরাচালান এইদেশে আসে? নিশ্চিত মাটির তল দিয়ে অনেকবড় রাস্তা আছে। আর
এসব কিছুই আসে মিয়ানমার ও ভারত থেকে।
দুনিয়ার সবকিছুতেই ২টা ভাগ থাকে একটা ভালো একটা খারাপ। তেমনই সব জায়গায় সব কিছুতেই দুই ধরনের মানুষ থাকে আবার জিনিসও থাকে।
সরকার কি এমনিতেই মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে? অসহ্য হয়েই করেছে। কেননা এই মাদকের কারনে দেশের শত শত যুবকবয়সী ছেলে মেয়ে অকালেই ইয়াবা, গাজা আর হিরোইন খেয়ে মরে যাচ্ছে যার ফল ভোগ করছে তাদের পরিবার আর সমাজ।
পুলিশের এক বড় সাবেক কর্মকর্তা বলেছে, তিনি যখন এই চোরাচালানকারীদের ধরতে যেতেন গোপন তথ্যের ভিত্তিতে তারা আগে ভাগেই পালিয়ে যেতো। আবার যখন, ধরা পড়তো তখন তারা আদালত থেকে কয়েকদিনের মাঝেই ছাড়া পেয়ে যেতো। কারন, আদালত চাই সঠিক প্রমাণ যা মুখে নয় কাজে কর্মেও প্রমাণ দিতে হবে।
আমার মতে, আদালত প্রমাণ চায় এটা খুবই ভালো কাজ তবে এই স্বাক্ষী প্রমানের জন্য অনেক বড় বড় মাদক ব্যবসায়ীরা ছাড়া পেয়ে যায় দেশে বিচার ব্যবস্থাকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে।
অন্যদিকে আমাদের দেশের সম্মানিত পেশার উকিলরা তো আছেই। যাদের একমাত্র কাজ আর ধর্মই হচ্ছে তাদের নির্দোষ মক্কলদের ছাড়িয়ে দিতে জীবনপণ যুদ্ধ।
আমি মানছি যারা সৎ উলিক তাদের জন্য অনেক নির্দোষ ব্যক্তিরা আইনের কঠিন সাজা থেকে মুক্তি পাচ্ছে আমি কেবল শুধু সেই সকল উকিলদেরকেই দাঁড়িয়ে সালাম জানাই। তবে,
যারা মনে করেন আমার মক্কেল বাহিরের জগতে চোর হোক কিংবা দেশের নামিদামি সন্ত্রাসী হোম তাতে আমার কিছুই যায় আসেনা আমার কাছে শুধু মক্কেল আর আমার কাজ হচ্ছে তাকে জামিনে বের করে নিয়ে আসা। আমার পক্ষ থেকে তাদের মুখে একধলা থুঃ থুঃ উপহার। কেননা, আদালত প্রমান ছাড়া অন্ধ কিন্তু সেই অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে যে সকল উকিলরা দেশের বড় বড় চোর বাটপারদের ছাড়িয়ে দিতে সহায়তা করে তাদেরকেও দোষী বানিয়ে জেল খাটাতে হবে।
অন্যদিকে আছে পুলিশের ইমামী দায়িত্ব। দেশের প্রায় ৯৮ভাগ পুলিশেরই বড় একটা ইনকাম আছে তাদের ডিউটি থেকে। তারা পকেটে ইয়াবা ডুকিয়ে মামলা দিবে। গাড়ির লাইসেন্স ভালো থাকলে বকছিস চাইবে আর খারাপ থাকলেতো কথাই নাই, ঈদের দিনের মতো বকছিস চেয়ে বসে থাকে। টাকা যত বেশি মামলা তত ছোট। চেকিং এর নামে রাস্তার যার তার সাথে খারাপ আচরণ করা যেনো তাদের একটা অভাসে পরিণত হয়েছে। তবে যাদের মধ্যে সৎ ভাব আছে তাদেরকে জানাই সালাম। তবে বাংলাদেশের ইতিহাসে বিরল সৎ পুলিশের কেননা। আমরা এখনো সভ্যতা কাকে বলে তা শিখিনি।
তবে সর্বোপরি বলতে চাই----
বাংলাদেশে মাদক ঢুকে কিভাবে? উড়োজাহাজ দিয়ে নাকি মাটির তলের বানানো রাস্তা দিয়ে?
দেশের সীমান্তপথে এতো এতো বর্ডার গার্ড থাকতে কিভাবে এইদেশে মাদক ঢুকে এর কি জবাব প্রতিরক্ষা মন্ত্রী দিতে পারবে? নাকি মাদকের ফ্যাক্টরি এইদেশেই আছে সেটা সাধারণ জনগণ কেউ জানেনা?
ট্রাকের পর ট্রাক মাদকের গাড়ি বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে ঢুকে ঠিক তবে কিভাবে? যারা দায়িত্বরত তাকে তখন তাদের সবাইকে কয়েক লাখ টাকা দিলেই ব্যাস খাল্লাশ। আর কোনো বাধাই থাকেনা। কারন, দেশের মধ্যে মানুষ নেশাখোর হলে তাদের কি তারাতো ঠিকই কয়েক মিনিটের ব্যবধানে কয়েকলাখ টাকা পেয়ে যায়। যদিও সেই টাকার ৯০ভাগই পায় বর্ডা গার্ডের বড় কর্তারা। তবে যদি তা নাই হয়! তাহলে এতো এতো ইয়াবা আসে কিভাবে? কোন রাস্তা দিয়ে এইদেশের মাটিয়ে ঢুকে? এর জবাব দিতে পারলে মনে করবো বর্ডার গার্ডের ডিউটিগুলো ঠিক মত দেশের স্বার্থে কাজ করছে তা নাহলে আমি এবং সবাই বলবে মাদকের সবচেয়ে বড় গডফাদার হলেন বর্ডার গার্ডের বাহিনীরা।
======================================
আমার ফেসবুক পেজ :- www.facebook.com/AbdullahIbneMasud5
-----------------------------------------------------------------------
আমার ব্লগ সাইট :- www.AbdullahIbneMasud5.blogspot.com
-----------------------------------------------------------------------
আমার ফেসবুক গ্রুপ :- www.facebook.com/groups/AbdullahIbneMasud5
No comments
Thanks for your comments. I will reply you as soon as.