ইসলামী দৃষ্টিকোণ হতে পুণ্য
ইসলামী দৃষ্টিকোণ হতে পুণ্য
ইসলামে পুণ্য (সওয়াব) হল ইসলামী নীতিশাস্ত্রের একটি প্রধানতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ। প্রায়শই, তাকওয়াকে পুণ্যের সমার্থক বলে চিহ্নিত করা হলেও প্রকৃতপক্ষে ইসলামে পুণ্য অপেক্ষাকৃতভাবে একটি ভিন্ন ও বিস্তৃত সংজ্ঞাকে নির্দেশ করে।
♦কুরআন
কুরআনে পুণ্য সংজ্ঞায়িত হয়েছে এভাবে:
২:১৭৭ সৎকর্ম শুধু এই নয় যে, পূর্ব কিংবা পশ্চিমদিকে মুখ করবে, বরং বড় সৎকাজ হল এই যে, ঈমান আনবে আল্লাহর উপর কিয়ামত দিবসের উপর, ফেরেশতাদের উপর এবং সমস্ত নবী-রসূলগণে র উপর, আর সম্পদ ব্যয় করবে তাঁরই মহব্বতে আত্নীয়-স্ব জন, এতীম-মিসকীন , মুসাফির-ভিক্ষুক ও মুক্তিকামী ক্রীতদাসদের জন্যে। আর যারা নামায প্রতিষ্ঠা করে, যাকাত দান করে এবং যারা কৃত প্রতিজ্ঞা সম্পাদনকারী এবং অভাবে, রোগে-শোকে ও যুদ্ধের সময় ধৈর্য্য ধারণকারী তারাই হল সত্যাশ্রয়ী, আর তারাই পরহেযগার।
— "কুরআন"।
♦হাদিস
হাদিসে পুণ্যের সংজ্ঞা প্রদান করা হয়েছে।
আন নাওয়াস বিন সামআন হতে বর্ণিত:
"নবী মুহাম্মাদ বলেছেন, "পুণ্য হল সদ্ব্যবহার, আর পাপ হলো যা সন্দেহ তৈরি করে এবং তুমি পছন্দ কর না যে লোকজন তা জেনে ফেলুক।""
— সহীহ মুসলিম, ৩২:৬১৯৫ (ইংরেজি),সহীহ মুসলিম, ৩২:৬১৯৬
♦ওয়াবিসা বিন মাবাদ হতে বর্ণিত:
“আমি আল্লাহর রাসুলের কাছে গেলাম এবং তিনি আমাকে জিজ্ঞেস করলেন: “তুমি কি পুণ্য সম্পর্কে জানতে এসেছ?” আমি ইতিবাচক উত্তর দিলাম। তখন তিনি বললেন: “তোমার হৃদয়কে জিজ্ঞাসা কর। পুণ্য হল যা আত্মাকে প্রশান্তি এবং হৃদয়কে প্রস্বস্তি দেয়, আর পাপ হল যা সন্দেহ সৃষ্টি করে এবং হৃদয়কে বিচলিত করে, এমনকি লোকে যদি তা বৈধ বলে এবং বারবার তা ন্যায়সঙ্গত বলে তোমাকে বোঝাতে থাকে তাঁর পরও।”
— আহমাদ আদ-দারমি
No comments
Thanks for your comments. I will reply you as soon as.